জাহাঙ্গীর আলম, প্রতিনিধি ঠাকুরগাঁও 
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় বেশকয়েকটি মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার ৫ (ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে মন্দির পরিচালনা কমিটি।
উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের জাউনিয়া কলেজপাড়া, চাড়োল সাবাজপুর পশ্চিমনাথপাড়া ও ধনতলা ইউনিয়নে সিন্দুরপিন্ডি সহ বিভিন্ন স্থানে মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
ধনতলা ইউনিয়নের পূজা উদ্যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সিন্দুরপিন্ডি মন্দির কমিটির সভাপতি জোতিময় সিংহ বলেন, প্রায় অর্ধশত বছর ধরে আমরা মন্দিরে পূজা অর্চনা করে আসছি। কোনো দিন এধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আজ ভোর রাতে কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা ভাঙচুরের ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন আতঙ্কে রয়েছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং জড়িতদের দ্রুত বিচারের দাবি জানাই।
চাড়োল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান দিলিপ কুমার চ্যাটার্জী বাবু বলেন, কে বা কাহারা রাতের অন্ধকারে রাস্তার ধারে থাকা কয়েকটি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করেছে। সকালে মন্দির কমিটির লোকজন খবর দিলে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রশাসনকে জানাই।
খবর পেয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপুল কুমার, উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আসলাম জুয়েল, বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি খায়রুল আনাম ডন দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, দেশের শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এ ধরনের ঘটনা উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে ঘটিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দ্রুতই জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। এসময় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে আতঙ্কিত না হয়ে পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
এবিষয়ে জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ধরনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে জন্য জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন সচেতন মূলক পদক্ষেপ নেবে।
সাম্প্রতিক বাংলা-ডট
