যশোরের মনিরামপুরে জুয়ার আসরে হানা দিয়ে ১০ জুয়াড়িকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার চন্ডিপুর শেখপাড়া থেকে পুলিশ তাদের আটক করে। এসময় ৫ লাখ ৮৫ হাজার ৩১০ টাকাসহ ৮ লিটার চোলাই মদ জব্দ করে পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন- চন্ডিপুর গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহবুর রহমান, একই গ্রামের রোস্তম আলী সরদারের ছেলে আব্দুল হামিদ, মোহনপুর পশ্চিমপাড়ার মুজিবুর রহমানের ছেলে রিপনুজ্জামান রিপন, একই গ্রামের মহাসীন সরদারের ছেলে মাহমুদুর রহমান লিটন, হানুয়ার গ্রামের ইয়ামিন সরদারের ছেলে আব্দুস সালাম, ঝিকরগাছার জাফরনগরের নূর ইসলামের ছেলে সোহাগ হোসেন, সাতক্ষীরার কলারোয়ার কলাটুপি গ্রামের ইব্রাহীম গাজীর ছেলে রফিকুল ইসলাম, যশোর সদর উপজেলার পাগলাদাহ গ্রামের মোজাহার বিশ্বাসের ছেলে শহিদ বিশ্বাস, একই উপজেলার পালবাড়ি এলাকার জামাত আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম ও খুলনা সদর উপজেলার বাঘমারা গ্রামের নরেশ রায়ের ছেলে স্নেহাংশু রায়।

মনিরামপুর থানার ওসি (তদন্ত) গাজী মাহবুবুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চন্ডিপুর শেখপাড়ার আনোয়ার পারভেজ অনুজ বিভিন্ন এলাকা থেকে জুয়াড়িদের এনে তাঁর নিজ বসত ঘরে জুয়ার আসর বসাতো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে আমরা জুয়ার বোর্ডে হানা দিয়ে ১০ জনকে আটক করেছি। এসময় ৫ লাখ ৮৫ হাজার ৩১০ টাকা ও ৮ লিটার চোলাই মদ পাওয়া গেছে।
তিনি আরো বলেন, আটককৃতরা জানিয়েছে আনোয়ার পারভেজ মাথাপিছু এক হাজার টাকা নিয়ে তাঁর বাড়িতে জুয়ার আসর বসান। মামলায় তাঁকে পলাতক আসামি দেখানো হয়েছে।

মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান বলেন, জুয়ার এ আসরটি আগে ঝিকরগাছায় বসত। সেখান থেকে উঠে এসে তারা চন্ডিপুর এলাকায় আসর বসায়। স্থানীয় মেম্বর মাহাবুর রহমান জুয়ার বোর্ড পরিচালনা করত। সে নিজে ১২ হাজার টাকা নিয়ে ওই রাতে খেলতে গিয়েছিল। আসর জমার পরপরই আমরা বোর্ডে হানা দিয়েছি। এ ঘটনায় আজ (বুধবার) সকালে থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

সাম্প্রতিক -বি