
স্টাফ রিপোর্টার
যশোরের ঝিকরগাছায় আরাফাত লালটু (৩২) নামে এক যুবদল নেতাকে কুপিয়ে হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করেছে সন্ত্রাসী ও চাঁদবাজরা। এতে তার এক হাতের কব্জির প্রায় ৮০ ভাগ কেটে গেছে।
সোমবার রাত ১০ টার দিকে উপজেলার চান্দেরপোল মোড়ে এই ঘটনা ঘটে।
আহত লাল্টু ওই গ্রামের মতলেব হোসেনের ছেলে। তিনি উপজেলার নাভারণ ইউনিয়নের যুবদলের সাবেক সহসভাপতি।
স্থানীয়রা জানান, যুবদল নেতা লাল্টু রাত ১০ টার দিকে চান্দেরপোল মোড়ে অবস্থান করছিলেন। এসময় মিজানের নেতৃত্বে সোহাগ ডাক্তার, রশিদ ও রেজা দেশীয় অস্ত্র দা এবং চাইনিজ কুড়াল দিয়ে লাল্টুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এতে লাল্টুর ডান হাতের কব্জির প্রায় ৮০ ভাগ কেটে গেছে। এছাড়া তার মাথা এবং ঘাড়েও গুরুতর জখম করে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে তার বাবা ও ভাই হামলার শিকার হন। এসময় স্থানীয়রা ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা লাল্টুকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিলে গেলে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় রেফার করেন।
স্থানীয়রা আরও জানান, আরাফাত লাল্টুর সঙ্গে বিরোধ চলছিল একই এলাকার মিজান, সোহাগ ডাক্তার, রশিদদের। এর জের ধরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানান তারা।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবিরা সুলতানা মুন্নী বলেন, মিজান, সোহাগ ডাক্তার, রশিদ, রেজাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, চাল আত্মসাৎ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। গত ৫ আগস্টের পর তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। এ চক্রের অনেকেই ইতিমধ্যে দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। এ চক্রের অপকর্মের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় লাল্টুর ওপর এই হামলা চালানো হয়েছে।
ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর মোহাম্মদ গাজী বলেন, পূর্বশত্রুতার জের ধরে এই ঘটনা ঘটেছে। আমরা দোষীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছি।
নিজস্ব প্রতিবেদক 









