
পেরুর প্রেসিডেন্ট দিনা বলুয়ার্তে নিজের মাসিক বেতন দ্বিগুণ বাড়িয়ে প্রায় ১০ হাজার ডলার (১২ লাখ ২৬ হাজার টাকা) করায় দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকের মতে, এই অর্থ দরিদ্রদের জন্য ব্যয় করাই ছিল উত্তম।
গত বুধবার (২ জুলাই) পেরুর অর্থমন্ত্রী জানান, প্রেসিডেন্টের নতুন বেতন ৩৫ হাজার ৫৬৮ সোলেস (১০ হাজার ৬৭ ডলার) নির্ধারণ করা হয়েছে, যা দেশের ন্যূনতম মজুরির ৩০ গুণ। আগে তাঁর বেতন ছিল ১৫ হাজার ৬০০ সোলেস (৪ হাজার ৪০০ ডলার), যা ২০০৬ সালে প্রেসিডেন্ট অ্যালেন গার্সিয়া স্থির করেছিলেন।
সরকার দাবি করেছে, লাতিন আমেরিকার ১২ দেশের মধ্যে বলুয়ার্তের আগের বেতন ছিল ১১তম স্থানে, শুধু বলিভিয়ার প্রেসিডেন্টের চেয়ে বেশি। তবে এই দাবির সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি। গত বছর এক প্রতিবেদনে লাতিন আমেরিকার প্রেসিডেন্টদের বেতন ৩ হাজার থেকে ২২ হাজার ডলার পর্যন্ত উল্লেখ করা হয়েছিল।
এ সিদ্ধান্তকে ‘হাস্যকর’ বলে মন্তব্য করেছেন লিমার এক পেনশনভোগী রোলান্দো ফনসেকা। তাঁর মতে, ‘দেশে দারিদ্র্য চরম পর্যায়ে, এমন সময় প্রেসিডেন্টের উচিত ছিল উদাহরণ সৃষ্টি করা।’
বলুয়ার্তের জনপ্রিয়তা এখন তলানিতে। জরিপে তাঁর সমর্থন মাত্র ২-৪%। তাঁর পূর্বসূরি পেদ্রো কাস্তিয়োকে ক্ষমতাচ্যুত ও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বলুয়ার্তে বিতর্কে জড়িয়েছেন। অবৈধ সম্পদ ও বিক্ষোভে প্রাণহানির অভিযোগে তদন্ত হয়েছে, যদিও তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পেরুর ৩০% মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। মহামারির পর অর্থনীতি কিছুটা পুনরুদ্ধার হলেও সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতি হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ থেকে এখন পর্যন্ত পেরুর ছয় প্রেসিডেন্টের মধ্যে তিনজনই কারাগারে। বলুয়ার্তের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৬ সালের জুলাইয়ে, তবে এপ্রিলেই নতুন নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক 









