
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থীকে ডেকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তার সহপাঠীদের বিরুদ্ধে। সোমবার মধ্যরাতে বিশ্বিবদ্যালয়ের আইআইইআর ভবন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার হওয়া শিক্ষার্থী হলেন মার্কেটিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মোস্তাফিজুর রহমান। অপরদিকে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন, একই বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী লুমান, হৃদয়, সাজিদ, রনক, আলিফ ও হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হান্নান।
মারধরের শিকার হওয়া মোস্তাফিজুর রহমানের ভাষ্যমতে, গতকাল রাত ১ টার দিকে আমি দোকানে ছিলাম। আমার সাথে বড় ভাইরাও ছিল পরে আমি রুমে চলে আসি। রুমে আসলে আমার সহপাঠী লুমান আমাকে চা খাওয়ার জন্য ডাকে। এসময় লুমানের সাথে হৃদয়, সাজিদ, রনক, আলিফ ও হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের হান্নানও ছিল। পরে আমি তাদের সাথে যায়। হাটাহাটির এক পর্যায়ে তারা আমাকে মীর মুগ্ধ সরোবরের দিকে নিয়ে যেতে চাই। কিন্তু অন্ধকারের জন্য আমি তাদের অস্বীকৃতি জানায়। ওরা ছয় জন স্বাভাবিকভাবে হাসাহাসি করতে করতে নিয়ে যাচ্ছে। বুঝায় যাচ্ছে না, যে ওদের পূর্বের প্রস্তুতি আছে আমাকে মারার জন্য। আলিফ (সহপাঠী) হুটকরে আমাকে বসতে বলে। ওরা ছয় জন আমাকে গোল করে ধরে প্রথমে গালি দেয়। আলিফ বলে, ‘তুই আমার গালফ্রেন্ড কে বেবি ডেকেছিস কেন।’ আর লুমান বলে ‘আমাকে প্লেবয় বলেছিস কেন।’ পরে হান্নান এসে আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এক পর্যায়ে কথা বলতে বলতে তারা ছয়জন মিলে আমাকে মারধর করে। মারতে মারতে কলাবাগানের ভিতর নিয়ে চলে যায়। হান্নান বলে, ‘তোকে মেরে ফেলবো তুই কি করবি কর। তোর বাপকে কল দিস।’ ওরা একজন আমাকে কাছে টানতেছে আর একজন মারতেছে। আমি ভিডিও করতে গেলে মোবাইল কেড়ে নেয়। পরে আমি ওদের থেকে বাঁচতে জুতা রেখে পালিয়ে আসি।’
অন্যদিকে অভিযুক্তদের ভাষ্যমতে, সেই রাতে বন্ধু হিসেবে এমনিতেই চা খেতে ডাকি। সবাই হাটাহাটি করছিলাম এক সাথে। এক পর্যায়ে আমাদের মধ্যে এক বন্ধু ওকে (মোস্তাফিজুর) বলে ‘তোর বিরুদ্ধে মেয়েরা অভিযোগ দেয়, তুই মেয়েদের টিচ করিস’। এই কথা বলতেই সে (মোস্তাফিজুর) আমাদের সাথে তর্কে জড়িয়ে যায়। তবে কোন ধরনের মারধরের ঘটনা ঘটেনি। এসময় সে ফোন রেখে ওখান থেকে চলে আসে। তাই ফোন দিতে তার পিছনে পিছনে আসি। পরে ফোনও দিয়ে দি।
মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্তদের একজন বলেন, ‘মারধরের মতো কোন ঘটনা ঘটেনি। এটা সম্পূর্ন বানোয়াট। মোস্তাফিজুর অনেক মেয়েদের টিস করে ও নোংরা কথা বার্তা বলে। আমরা এসব বিষয়ে তাকে বুঝাতে গেলে আমাদের সাথে তার কথাকাটি হয়। পরে মোবাইল রেখে ওখান থেকে চলে আসে।’
ইবি প্রতিনিধি 









