সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঈদের নামাজের পর জিলাপির টাকার হিসাব নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ

প্রতীকী ছবি

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর গলাচিপায় ঈদের নামাজ শেষে জিলাপির টাকা দেয়া নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের লামনা গ্রামের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কয়সর আলী সিকদার বাড়ি জামে মসজিদে ঈদের নামাজ শেষে এ ঘটনা ঘটে। এতে নারীসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।

আহতরা হলেন- মো. রাসেল (৩২), আব্দুর রহমান (৪০), মো. রাজ্জাক (৩৩), মোসা. ফাতিমা (২৮) ও জাহিদুল ইসলাম (৩৮)। তারা সবাই বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের লামনা গ্রামের বাসিন্দা।

জানা যায়, ঈদের নামাজ শেষে মুসল্লিদের মধ্যে জিলাপি বিতরণের পর টাকা দেয়া-নেয়া নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয় এবং পরে সংঘর্ষে রূপ নিলে দুপক্ষের লোকজন লাঠি সোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।

ভুক্তভোগী আব্দুর রহমান ও জাহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা নাম নিয়ে পূর্ব থেকেই বিরোধ চলছিল। এ ঘটনার জেরে দুলাল সিকদার, আলামিন সিকদার ও ফিরোজ সিকদারের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা গলাচিপা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছি।

মসজিদ কমিটির সভাপতি সুলতান সিকদার বলেন, আমি বর্তমানে এলাকায় নেই। ঘটনার বিষয় শুনেছি, বাড়িতে গিয়ে বিস্তারিত জানার পর এ নিয়ে বসবো।

গলাচিপা থানার ওসি (তদন্ত) ঝিলন হাওলাদার বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

যশোরের শার্শায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও রোগমুক্তি কামনায় দোয়া-মাহফিল

ঈদের নামাজের পর জিলাপির টাকার হিসাব নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ

প্রকাশের সময় : ১২:১২:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল ২০২৫

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর গলাচিপায় ঈদের নামাজ শেষে জিলাপির টাকা দেয়া নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের লামনা গ্রামের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কয়সর আলী সিকদার বাড়ি জামে মসজিদে ঈদের নামাজ শেষে এ ঘটনা ঘটে। এতে নারীসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।

আহতরা হলেন- মো. রাসেল (৩২), আব্দুর রহমান (৪০), মো. রাজ্জাক (৩৩), মোসা. ফাতিমা (২৮) ও জাহিদুল ইসলাম (৩৮)। তারা সবাই বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের লামনা গ্রামের বাসিন্দা।

জানা যায়, ঈদের নামাজ শেষে মুসল্লিদের মধ্যে জিলাপি বিতরণের পর টাকা দেয়া-নেয়া নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয় এবং পরে সংঘর্ষে রূপ নিলে দুপক্ষের লোকজন লাঠি সোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।

ভুক্তভোগী আব্দুর রহমান ও জাহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা নাম নিয়ে পূর্ব থেকেই বিরোধ চলছিল। এ ঘটনার জেরে দুলাল সিকদার, আলামিন সিকদার ও ফিরোজ সিকদারের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা গলাচিপা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছি।

মসজিদ কমিটির সভাপতি সুলতান সিকদার বলেন, আমি বর্তমানে এলাকায় নেই। ঘটনার বিষয় শুনেছি, বাড়িতে গিয়ে বিস্তারিত জানার পর এ নিয়ে বসবো।

গলাচিপা থানার ওসি (তদন্ত) ঝিলন হাওলাদার বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।