সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় ইসরায়েলি তাণ্ডব, তিন দিনে নিহত ৬০০

ছবি-সংগৃহীত

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত বৃহস্পতিবারও ইসরায়েলি হামলায় ৮৫ জন নিহত ও ১৩৩ জন আহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত তিন দিনে ৫৯০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। হতাহতের মধ্যে দুই শতাধিক শিশুও রয়েছে।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ বিমান হামলার পাশাপাশি স্থল হামলার তীব্রতাও বাড়াচ্ছে। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে- উপত্যকাটিতে হতাহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে।

দেইর এল-বালাহর আল আকসা হাসপাতাল থেকে আল জাজিরার প্রতিনিধি হিন্দ খৌদারি সেখানে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীদের বরাতে জানিয়েছেন, গাজা উপত্যকার হাসপাতালগুলোতে উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়ে যারা হাসপাতালে আসছেন- তাদের অধিকাংশেরই আঘাত বেশ গুরুতর। বেশির ভাগই শিশু, নারী ও বয়স্ক লোক। অথচ উপকরণের অভাবে তাদের চিকিৎসা ঠিক মত হচ্ছে না।

সাধারণ ব্যাথানাশক ঔষুধ, অ্যানেস্থেসিয়া, অপারেশনের জন্য গজ কাপড়ের মত মৌলিক উপাদানগুলোও হাসপাতালগুলোতে নেই। কারণ গত ১৮ দিনে চিকিৎসা সরঞ্জামের একটি ট্রাকও গাজায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

এদিকে আইডিএফ গাজার পাশাপাশি অধিকৃত পশ্চিম তীরেও সামরিক কার্যক্রম শুরু করেছে। সেখানকার কয়েকটি অঞ্চলে শুক্রবার বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে অভিযান চালায় ইসরায়েলি সেনারা। এর মধ্যে তুলকারেম শহরের দারাত আল-সির পাড়াতে ইসরায়েলি বাহিনী ১০০টিরও বেশি পরিবারকে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে।

এ ছাড়া ইসরায়েলি সেনাদের পশ্চিমতীরের নাবলুসের পূর্বে বালাতা শরণার্থী শিবির, জেনিন শহরের কাছে আরাবোনা ও বেইত কাদের গ্রামেও প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

এদিকে সিরিয়ার টেলিভিশন চ্যানেল মানার নিউজ জানিয়েছে, দেশটির রাজধানী দামেস্কের পশ্চিমে একটি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তবে হতাহতের কোনো খবর এখনও পাওয়া যায়নি।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

যশোরের শার্শায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও রোগমুক্তি কামনায় দোয়া-মাহফিল

গাজায় ইসরায়েলি তাণ্ডব, তিন দিনে নিহত ৬০০

প্রকাশের সময় : ০৬:০৯:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত বৃহস্পতিবারও ইসরায়েলি হামলায় ৮৫ জন নিহত ও ১৩৩ জন আহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত তিন দিনে ৫৯০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। হতাহতের মধ্যে দুই শতাধিক শিশুও রয়েছে।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ বিমান হামলার পাশাপাশি স্থল হামলার তীব্রতাও বাড়াচ্ছে। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে- উপত্যকাটিতে হতাহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে।

দেইর এল-বালাহর আল আকসা হাসপাতাল থেকে আল জাজিরার প্রতিনিধি হিন্দ খৌদারি সেখানে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীদের বরাতে জানিয়েছেন, গাজা উপত্যকার হাসপাতালগুলোতে উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়ে যারা হাসপাতালে আসছেন- তাদের অধিকাংশেরই আঘাত বেশ গুরুতর। বেশির ভাগই শিশু, নারী ও বয়স্ক লোক। অথচ উপকরণের অভাবে তাদের চিকিৎসা ঠিক মত হচ্ছে না।

সাধারণ ব্যাথানাশক ঔষুধ, অ্যানেস্থেসিয়া, অপারেশনের জন্য গজ কাপড়ের মত মৌলিক উপাদানগুলোও হাসপাতালগুলোতে নেই। কারণ গত ১৮ দিনে চিকিৎসা সরঞ্জামের একটি ট্রাকও গাজায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

এদিকে আইডিএফ গাজার পাশাপাশি অধিকৃত পশ্চিম তীরেও সামরিক কার্যক্রম শুরু করেছে। সেখানকার কয়েকটি অঞ্চলে শুক্রবার বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে অভিযান চালায় ইসরায়েলি সেনারা। এর মধ্যে তুলকারেম শহরের দারাত আল-সির পাড়াতে ইসরায়েলি বাহিনী ১০০টিরও বেশি পরিবারকে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে।

এ ছাড়া ইসরায়েলি সেনাদের পশ্চিমতীরের নাবলুসের পূর্বে বালাতা শরণার্থী শিবির, জেনিন শহরের কাছে আরাবোনা ও বেইত কাদের গ্রামেও প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

এদিকে সিরিয়ার টেলিভিশন চ্যানেল মানার নিউজ জানিয়েছে, দেশটির রাজধানী দামেস্কের পশ্চিমে একটি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তবে হতাহতের কোনো খবর এখনও পাওয়া যায়নি।