
স্টাফ রিপোর্টার
যশোরের শার্শার কায়বায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নাম ভাঙ্গিয়ে আশিকুজ্জামান আশিক (২৮) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আশিকসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
রবিবার (৯ মার্চ) ভুক্তভোগী হারুন মোড়ল বাদী হয়ে এ অভিযোগটি করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার কায়বায় ইউনিয়নের বাগুড়ী গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে অশিকুজ্জামান আশিক (২৮), করিম মিস্ত্রির ছেলে টুটুল (৩০), লুৎফারের ছেলে মুন্না হোসেন (২৭) মৃত চাঁদ আলীর ছেলে চটা সিরাজ (৪৮), আলাউদ্দিনের ছেলে লিটন হোসেন (৩৫), মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে কাওসার আলী (৩০) ও রাড়ীপুকুর গ্রামের মৃত ফকির আহম্মেদের ছেলে নজিবুল্লাহ (৩২)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রাড়িপুকুর গ্রামের মৃত সুখচাঁন মোড়লের ছেলে হারুণ মোড়ল পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তিনি গত ২৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যার সময় বাগুড়ী বেলতলা বাজারে রফিকের চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। এসময় আশিকুজ্জামান আশিক,যুবদল নেতা মুন্না, টুটুল, চটা সিরাজ, লিটনের নেতৃত্বে ১০/১২ জন এসে মোটরসাইকেল যোগে তাকে জোরপূর্বক বাগআঁচড়া বাজারে বিএনপির অফিসে তুলে নিয়ে যায়। পরে সেখানে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা পরিচয়দানকারী আশিক ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা মিলে তাকে মারধর করে। এসময় আশিক তার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। একপর্যায়ে প্রাণ বাঁচাতে ধারদেনা করে যুবদল নেতা নজিবুল্লাহর মাধ্যমে নগদ এক লাখ টাকা দেন হারুণ। বাকি ৪ লাখ টাকা ২০ দিনের মধ্যে দিতে হবে এই মর্মে তাকে ছেড়ে দেন আশিক ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা ।
পরবর্তীতে গত ১৮ জানুয়ারি আরো এক লাখ ৩০ হাজার টাকা দেন তিনি। বাকি চাঁদার টাকার জন্য তাকে প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছিলেন আশিক ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা।
জীবনের নিরাপত্তার জন্য হারুন মোড়ল (রবিবার) শার্শা থানায় আশিকসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এবিষয়ে আশিকুজ্জামান বলেন, আমাদের নিজেদের মধ্যে দ্বন্দের কারণে এন্টি পক্ষ হারুণকে দিয়ে থানায় চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ নুরুজ্জামান লিটন জানান, বিএনপিতে চাঁদাবাজের কোন স্থান নেই। কেউ দলের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত থাকলে তদন্ত করে প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, এবিষয়ে থানায় একজন অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ তদন্ত করে প্রমানিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্টাফ রিপোর্টার 









