সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় রণক্ষেত্র, আহত শতাধিক

ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)। এসময় ক্যাম্পাসে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সাইন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করেছ। এ ঘটনায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

আজ বুধবার (১৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ৩ টায় শুরু হয় সংঘর্ষ। দফায় দফায় চলা সংঘর্ষে এক পর্যায়ে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। এখনো সেখানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

এর আগে দুপুর সোয়া ১২ টার দিকে সিন্ডিকেট সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ১৪-১৬ জুলাই কোটা আন্দোলনের কারণে সংঘটিত বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরণের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসসমূহ যথারীতি খোলা থাকবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে বিকেল ৪টার মধ্যে আবাসিক হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।

তবে হল ছাড়ার নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে তারা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের রুমও ভাংচুর করে। পরে পুলিশ তাদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এসময়ে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলেও দাবি করেন তারা।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

যশোরের শার্শায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও রোগমুক্তি কামনায় দোয়া-মাহফিল

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় রণক্ষেত্র, আহত শতাধিক

প্রকাশের সময় : ০৮:৪৮:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪

পুলিশ ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)। এসময় ক্যাম্পাসে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সাইন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করেছ। এ ঘটনায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

আজ বুধবার (১৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ৩ টায় শুরু হয় সংঘর্ষ। দফায় দফায় চলা সংঘর্ষে এক পর্যায়ে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। এখনো সেখানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

এর আগে দুপুর সোয়া ১২ টার দিকে সিন্ডিকেট সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ১৪-১৬ জুলাই কোটা আন্দোলনের কারণে সংঘটিত বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরণের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসসমূহ যথারীতি খোলা থাকবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে বিকেল ৪টার মধ্যে আবাসিক হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।

তবে হল ছাড়ার নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে তারা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের রুমও ভাংচুর করে। পরে পুলিশ তাদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এসময়ে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলেও দাবি করেন তারা।