সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাগরে ১০ লাখ টন তেজস্ক্রিয় পানি ছাড়ছে জাপান

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১১:৩৩:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩
  • ৯৪ বার পড়া হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত

ধ্বংস হওয়া ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে এ বছর ১০ লাখ টনের বেশি পানি সাগরে ছাড়বে জাপান। পরিশোধনের পর জাতীয় মানদণ্ড অনুযায়ী তেজস্ক্রিয় কণার নিরাপদ মাত্রা নিশ্চিত করেই এই পানি সাগরে ফেলা হচ্ছে বলে দাবি করেছে পরিচালনাকারী সংস্থা। খবর বিবিসি

দেশটির মুখ্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিরোকাজু মাতসুনো বলেছেন, এ বছরের বসন্ত বা গ্রীষ্মেই পানি সাগরে ফেলার পরিকল্পনা আছে। তবে আইএইএর প্রতিবেদন পেলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।

জাপানের এই প্রস্তাবকে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) নিরাপদ বললেও প্রতিবেশী দেশগুলো সাগর দূষণের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

জেলেরাও তেজস্ক্রিয় পানি সাগরে ফেলার বিরোধিতা করছেন। তাদের আশঙ্কা, এতে সাগরের জলজ সম্পদ দূষণের শিকার হবে। তখন সামুদ্রিক খাবারের ওপর আস্থা হারাবে মানুষ। এর ফলে তাদের জীবনযাপন হুমকির মুখে পড়বে।

২০১১ সালের ১১ মার্চ ভয়াবহ এক ভূমিকম্প এবং এ থেকে সৃষ্ট সুনামির বিশাল জলোচ্ছ্বাসে জাপানের ফুকুশিমায় অবস্থিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটির চারটি পারমাণবিক চুল্লি প্লাবিত হয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

ইউক্রেনের চেরনবিলের পর জাপানের ফুকুশিমার বিপর্যয়কে সবচেয়ে বড় পারমাণবিক দুর্ঘটনা হিসেবে ধরা হয়। দুই ঘটনাতেই প্রকৃতি ও জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়; আশপাশ থেকে লাখ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

যশোরের শার্শায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও রোগমুক্তি কামনায় দোয়া-মাহফিল

সাগরে ১০ লাখ টন তেজস্ক্রিয় পানি ছাড়ছে জাপান

প্রকাশের সময় : ১১:৩৩:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩

ধ্বংস হওয়া ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে এ বছর ১০ লাখ টনের বেশি পানি সাগরে ছাড়বে জাপান। পরিশোধনের পর জাতীয় মানদণ্ড অনুযায়ী তেজস্ক্রিয় কণার নিরাপদ মাত্রা নিশ্চিত করেই এই পানি সাগরে ফেলা হচ্ছে বলে দাবি করেছে পরিচালনাকারী সংস্থা। খবর বিবিসি

দেশটির মুখ্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিরোকাজু মাতসুনো বলেছেন, এ বছরের বসন্ত বা গ্রীষ্মেই পানি সাগরে ফেলার পরিকল্পনা আছে। তবে আইএইএর প্রতিবেদন পেলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।

জাপানের এই প্রস্তাবকে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) নিরাপদ বললেও প্রতিবেশী দেশগুলো সাগর দূষণের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

জেলেরাও তেজস্ক্রিয় পানি সাগরে ফেলার বিরোধিতা করছেন। তাদের আশঙ্কা, এতে সাগরের জলজ সম্পদ দূষণের শিকার হবে। তখন সামুদ্রিক খাবারের ওপর আস্থা হারাবে মানুষ। এর ফলে তাদের জীবনযাপন হুমকির মুখে পড়বে।

২০১১ সালের ১১ মার্চ ভয়াবহ এক ভূমিকম্প এবং এ থেকে সৃষ্ট সুনামির বিশাল জলোচ্ছ্বাসে জাপানের ফুকুশিমায় অবস্থিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটির চারটি পারমাণবিক চুল্লি প্লাবিত হয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

ইউক্রেনের চেরনবিলের পর জাপানের ফুকুশিমার বিপর্যয়কে সবচেয়ে বড় পারমাণবিক দুর্ঘটনা হিসেবে ধরা হয়। দুই ঘটনাতেই প্রকৃতি ও জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়; আশপাশ থেকে লাখ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়।