
ঝিনাইদহ হরিণাকুন্ডুতে কামরুজ্জামান শামিম (৪৮) নাম সাবেক এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা করছে সন্ত্রাসিরা। গতকাল বহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে শুড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শামিম ওই এলাকার গোলাম রসুলের ছেলে। তিনি উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহ সভাপতি ও পৌর কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এর আগে তিনি সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা ও নিহতের স্বজনরা জানান, রাতে এলাকার মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বাড়িতে আসেন শামিম। পরে রাতের খাবার খেয়ে বাইরে বের হন। এরপর আর তার খাঁজ মেলেনি। রাত ৯:৩০ মিনিটের দিকে বাড়ির সামনে হঠাৎ পাড়া এলাকার খাটলার পাতা স্থানে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হরিণাকুন্ডু উপজলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের ছেলে মাহিন জানায়, ঈশার নামাজ পড়ে তার বাবা বাসাই আসার পর মোবাইল ফোন দিয়ে কে বা কারা ডেকে নিয়ে যায়। এরপর সে আর বাড়িতে ফেরেনি। হরিণাকুন্ডু স্বেচ্ছাসেবক লীগর সাধারণ সম্পাদক ও নিহত শামিমের স্বজন সানােয়ার হােসেন জানান, শামিমকে কে বা কারা ধরে নিয়ে গিয়েছে লােকজনের মুখে এমন খবর শুনে তাক খুঁজতে বের হই। পরে বাড়ির সামনে বাশেঁর খাটলার নিচ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতাল নওয়া হয়।
হরিনাকুন্ডু স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (টি এইচ ও) মোঃ জামিলুর রশিদ জানান, ও হাসপাতালের চিকিৎসক আল আমীন জানান, নিহতর বুকের বামপাশে গুলির চিহ্ন রয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে দুই ঘন্টা আগে তাকে গুলি করা হয়েছে। ফলে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে হাসপাতালে আসার আগেই তার মত্যু হয়েছে।
এ বিষয় জানতে হরিণাকুন্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তুষার হাবীব, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি 









