
রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার ডলুছড়ি খেয়াঘাট থেকে নারানগিরি খেয়াঘাট পর্যন্ত নারানগিরি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্র- ছাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। খেয়াঘাট ইজারাদার নির্দেশে বোট চালিত মাঝিরা তাঁর হুকুম মানতে বাধ্য চালকরা।ইজারাদারের কথা মতো চললে বোটের চালকরা বোট চালাতে পারবে।আর কথা না শুনলে বোট চালাতে পারবে না বলে ভয় ভীতি দেখানো হয় বলে জানা যায়। প্রতিজন শিক্ষার্থীর দৈনিক সকালে প্রাইভেট পড়তে আসলেই ৪০টাকা করে পারাপারের ভাড়া গুনতে হচ্ছে। এতে ক্ষোভ জানিয়েছেন অভিভাবকরা।
৬ষ্ট শ্রেণীর ছাত্র উচামং মারমা ও ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী মাসাচিং মারমা বলেন ,ডলুছড়ি খেয়াঘাট থেকে নারানগিরি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ঘাট পর্যন্ত আসতে ৫-৭ মিনিট লাগে সেখানে ২০ টাকা ভাড়া দিতে হয়। আবার পার হতে ২০ টাকা মোট ৪০ টাকা দৈনিক পারাপারের জন্য লেগে যায় বলে জানান। দৈনিক সকালে আমরা ৮-১০ জন মিলে একটি বোটে করে যাতায়াত করে থাকি। সকাল টাইমে ২৫-৩০ জন ছাত্র-ছাত্রী প্রাইভেট পড়তে আসেন বলে জানান।
নারানগিরি খেয়াঘাটের বোট চালক কবির বলেন, সকালে যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী বিদ্যালয়ে যায় তাদের থেকে ১০-১৫ জন হলে ১৫ টাকা করে এবং ৮-১০ জন হলে ২০টাকা করে ভাড়া নিয়ে থাকেন বলে জানান। তবে স্কুলের সময়ে যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী আশা যাওয়া করে তাদের থেকে ৫ টাকা করে ভাড়া আদায় করেন বলে জানান। তবে ভাড়া নির্ধারণের বিষয়টি সম্পন্ন ইজারাদারের হাতে বলে জানান । এদিকে ইজারাদার আথোয়াই মারমার তার নিজস্ব ৩-৪ টা বোট রয়েছে বলে জানান । সে চাইলে বিষয়টি দেখতে পারে বলে জানান।
ডলুছড়ি এলাকার ইউপি সদস্য সেলিম বলেন, বিষয়টি আমার নিকট এলাকার বেশ কয়েকজন অভিভাবক মৌখিক ভাবে অভিযোগ করেন। আসলে বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। একজন ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে যদি প্রাইভেট পড়তে গেলে দৈনিক ৪০ টাকা পারাপারারের জন্য বোট ভাড়া দিতে হয়। তাহলে মাসে ১২শত টাকা খরচ বহন করতে হচ্ছে বলে জানান। তবে আগে কোন দিন ছাত্র -ছাত্রীদের থেকে এভাবে ভাড়া নিতে দেখি নাই বলে জানান। একটি ঘাটে পারাপারের জন্য দুই ধরনের ভাড়া কখনো হতে পারে না।বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
রাজস্থলী প্রতিনিধি 









