সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে দেয়াল টপকে দেয়া হচ্ছে নকল

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময় : ০১:৫৭:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মে ২০২৩
  • ১০৫ বার পড়া হয়েছে

এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে দেয়াল টপকে দেয়া হচ্ছে নকল ছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারীতে অসাধুপায়ে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে চলছে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা। কেন্দ্র এলাকার দেয়াল টপকে পরীক্ষার্থীদের কক্ষে নকল দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। যদিও প্রশাসনের দাবি নকলমুক্তভাবে এ বছর সুষ্ঠভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে বাস্তব চিত্র একেবারেই ভিন্ন। কেন্দ্র এলাকায় ভীড় করে নকলের কাগজপত্র নিয়ে ছোটাছুটি করছেন অভিভাবকসহ অনেকেই।

মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস জানিয়েছে, চিলমারীতে তিনটি কেন্দ্রে চলমান এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের আওতায় চিলমারীর থানাহাট এইউ সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় দুটি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের আওতায় রাজারভিটা ইসলামীয় ফাজিল মাদরাসায় চলমান এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

গত কয়েকদিনে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় দেখা গেছে, চলমান পরীক্ষায় কেন্দ্রের আশপাশে বহিরাগত লোকজনের আনাগোনা লক্ষণীয়। কেন্দ্র এরিয়ার ভিতরে দেয়াল টপকে ঢুকে নকল সাপ্লাই দিতেও দ্বিধা নেই তাদের। পরীক্ষা শুরুর ঘণ্টাখানেক পর থেকে শুরু হয় নকল কক্ষে পৌঁছে দেয়া প্রতিযোগিতা। এদিক সেদিক থেকে বইয়ের পাতা বা সাদা কাগজে হাতে লিখে বান্ডারী ওয়াল ভেদ করে জানালা দিয়ে নকল পাঠাচ্ছেন শুভাকাঙ্ক্ষীরা।

সরেজমিনে পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশে গেলে চোখে পড়ে ওঠতি বয়সের ছেলেরা কেন্দ্রের পাশে বসে বই থেকে লিখে নকল দেয়াল টপকে কেন্দ্রে ভিতর সরাসরি দিয়ে আসছে। শুরুর দিন থেকে এমন অবস্থা লক্ষণীয় ছিলো। তারা কেন্দ্রগুলো কাছাকাছি অবস্থান করছে এবং বিভিন্ন জায়গায় জটলা করেও থাকতে দেখা গেছে। পর্যাপ্ত প্রশাসনের লোকজন না থাকায় এমনটা হচ্ছে বলে ধারণা অনেকের।

থানাহাট ইউনিয়নের মমিনুল ইসলাম বাবু বলেন, কেন্দ্র এলাকায় পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো দরকার। যে পরিবেশে পরীক্ষা হচ্ছে এতে বুঝা যাচ্ছে পড়ালেখার মান অনেক খারাপ অবস্থানে চলে গেছে। এখানে বহিরাগত ছেলেদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও নকল কক্ষে পৌঁছে দিতে ওঠে পড়ে লেগেছে। প্রশাসনেরে দায়সারা ভূমিকায় চলছে পরীক্ষা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, গেলে কয়েকবারের তুলনায় এ বছর পরীক্ষায় নকল অনেক বেশি বেড়ে গেছে। আমরা যে সময় পরীক্ষা দিয়েছি সেসময় এত নকলের দৌরাত্ম ছিলো না। এখন দেখছি পরীক্ষার্থীদের বাবা-মা সাপ্লাই দিচ্ছে এটা সত্যিই দুঃখজনক।

চিলমারী মডেল থানার পুলিশ পরির্দশক (ওসি, তদন্ত) মুশাহেদ খান জানান, প্রতিটি কেন্দ্রে ৩ জন করে তিনটি কেন্দ্রে মোট ৯ জন পুলিশ সদস্যকে মোতায়ন করা হয়েছে। আমাদের দিক থেকে আমরা নজরদারি করে যাচ্ছি। এমন পরিবেশ তৈরি হলে প্রয়োজনে আরো পুলিশ সদস্য মোতায়ন করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাহবুবুর রহমান বলেন, এবার নকলমুক্ত পরীক্ষা হচ্ছে। আমরা প্রশাসন সর্বোচ অবস্থানে আছি। অসাধুপায় অবলম্বন করার সুযোগ নেই। তবে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে কক্ষে নকল পৌঁছে দিচ্ছে এমন প্রশ্নে তেমন উত্তর দিতে পারেনি ইউএনও।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

যশোরের শার্শায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও রোগমুক্তি কামনায় দোয়া-মাহফিল

এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে দেয়াল টপকে দেয়া হচ্ছে নকল

প্রকাশের সময় : ০১:৫৭:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মে ২০২৩
কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারীতে অসাধুপায়ে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে চলছে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা। কেন্দ্র এলাকার দেয়াল টপকে পরীক্ষার্থীদের কক্ষে নকল দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। যদিও প্রশাসনের দাবি নকলমুক্তভাবে এ বছর সুষ্ঠভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে বাস্তব চিত্র একেবারেই ভিন্ন। কেন্দ্র এলাকায় ভীড় করে নকলের কাগজপত্র নিয়ে ছোটাছুটি করছেন অভিভাবকসহ অনেকেই।

মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস জানিয়েছে, চিলমারীতে তিনটি কেন্দ্রে চলমান এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের আওতায় চিলমারীর থানাহাট এইউ সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় দুটি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের আওতায় রাজারভিটা ইসলামীয় ফাজিল মাদরাসায় চলমান এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

গত কয়েকদিনে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় দেখা গেছে, চলমান পরীক্ষায় কেন্দ্রের আশপাশে বহিরাগত লোকজনের আনাগোনা লক্ষণীয়। কেন্দ্র এরিয়ার ভিতরে দেয়াল টপকে ঢুকে নকল সাপ্লাই দিতেও দ্বিধা নেই তাদের। পরীক্ষা শুরুর ঘণ্টাখানেক পর থেকে শুরু হয় নকল কক্ষে পৌঁছে দেয়া প্রতিযোগিতা। এদিক সেদিক থেকে বইয়ের পাতা বা সাদা কাগজে হাতে লিখে বান্ডারী ওয়াল ভেদ করে জানালা দিয়ে নকল পাঠাচ্ছেন শুভাকাঙ্ক্ষীরা।

সরেজমিনে পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশে গেলে চোখে পড়ে ওঠতি বয়সের ছেলেরা কেন্দ্রের পাশে বসে বই থেকে লিখে নকল দেয়াল টপকে কেন্দ্রে ভিতর সরাসরি দিয়ে আসছে। শুরুর দিন থেকে এমন অবস্থা লক্ষণীয় ছিলো। তারা কেন্দ্রগুলো কাছাকাছি অবস্থান করছে এবং বিভিন্ন জায়গায় জটলা করেও থাকতে দেখা গেছে। পর্যাপ্ত প্রশাসনের লোকজন না থাকায় এমনটা হচ্ছে বলে ধারণা অনেকের।

থানাহাট ইউনিয়নের মমিনুল ইসলাম বাবু বলেন, কেন্দ্র এলাকায় পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো দরকার। যে পরিবেশে পরীক্ষা হচ্ছে এতে বুঝা যাচ্ছে পড়ালেখার মান অনেক খারাপ অবস্থানে চলে গেছে। এখানে বহিরাগত ছেলেদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও নকল কক্ষে পৌঁছে দিতে ওঠে পড়ে লেগেছে। প্রশাসনেরে দায়সারা ভূমিকায় চলছে পরীক্ষা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, গেলে কয়েকবারের তুলনায় এ বছর পরীক্ষায় নকল অনেক বেশি বেড়ে গেছে। আমরা যে সময় পরীক্ষা দিয়েছি সেসময় এত নকলের দৌরাত্ম ছিলো না। এখন দেখছি পরীক্ষার্থীদের বাবা-মা সাপ্লাই দিচ্ছে এটা সত্যিই দুঃখজনক।

চিলমারী মডেল থানার পুলিশ পরির্দশক (ওসি, তদন্ত) মুশাহেদ খান জানান, প্রতিটি কেন্দ্রে ৩ জন করে তিনটি কেন্দ্রে মোট ৯ জন পুলিশ সদস্যকে মোতায়ন করা হয়েছে। আমাদের দিক থেকে আমরা নজরদারি করে যাচ্ছি। এমন পরিবেশ তৈরি হলে প্রয়োজনে আরো পুলিশ সদস্য মোতায়ন করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাহবুবুর রহমান বলেন, এবার নকলমুক্ত পরীক্ষা হচ্ছে। আমরা প্রশাসন সর্বোচ অবস্থানে আছি। অসাধুপায় অবলম্বন করার সুযোগ নেই। তবে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে কক্ষে নকল পৌঁছে দিচ্ছে এমন প্রশ্নে তেমন উত্তর দিতে পারেনি ইউএনও।