
রাকিব রায়হান, জবি সংবাদদাতা।। রাজধানীর ধূপখোলায় গ্যাস বিস্ফোরণে ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান শাওন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার ভোরে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া। চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তিনি জানান, শাওনের শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরে মৃত্যু হয় তার।
মেহেদী হাসান শাওন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। শাওনের মামা আলমাস হোসেন বলেন, আগুনে পুড়ে অনেক কষ্ট সহ্য করেছে শাওন। শুক্রবার রাতে শ্বাসকষ্ট শুরু হয় এর পর শনিবার ভোরে মৃত্যু হয়েছে তার।
শাওনের বন্ধু মো. হাসান আলী জানান, শাওনের বাড়ি নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলার রহিমানপুর গ্রামে। বর্তমানে গেন্ডারিয়ার ডিস্টিলারী রোডের একটি মেসে থাকতেন। তার বাবার নাম আব্দুল লতিফ।
হাসান আরও জানান, ঘটনার দিন কাঁচাবাজার করতে গিয়েছিলেন শাওন। বাজার করা শেষে বাসায় ফেরার সময় ধূপখোলা এলাকায় আসলে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে মুহূর্তেই তার শরীরে আগুন ধরে যায়। পরে ড্রেনের পানিতে নেমে পড়েন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো গেল না। এ ঘটনায় নারী, শিশু ও শাওনসহ ৯ জন দগ্ধ হয়।
দগ্ধ অন্যরা হলেন: মুদি দোকানদার আব্দুর রহিম (৫০), তার মেয়ে মীম আক্তার (২১) ও নাতি আলিফ (২), ডিম বিক্রেতা মো. রাশেদ (৩০), শাড়ির দোকনদার আলী হোসেন (৩০), পথচারী সাহেরা বেগম (৬৫), মো. সোহেল (৪৮) ও মিজানুর রহমান (৩২)।
গত সোমবার (১ মে) সকাল ৯টার দিকে গেন্ডারিয়ার ধূপখোলা বাজারে মেরামতের সময় রাস্তার গ্যাস লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, মেহেদীর মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। এঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে।
সাম্প্রতিক বাংলা-ডট
রাকিব রায়হান, জবি সংবাদদাতা 















