সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ প্রমাণ আছে, তবুও তালিকায় নাম নেই বাবুলের

মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী নজরুল ইসলাম বাবুল

শহিদ জয়, প্রতিনিধি যশোর 
বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণকারী সাংবাদিক নজরুল ইসলাম বাবুল আজ অর্থনৈতিক দুরাবস্থার মধ্যে জীবনযাপন করছে।
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার কাউড়িয়া গ্রামের সাংবাদিক বাবুল জানান, তিনি ১৯৫৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ শুনে তিনি ঝাপিয়ে পড়েন মুক্তিযুদ্ধে। যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
বাবুল জানান, তৎকালীন মুজিব বাহিনীর প্রধান আলী হোসেন মনির নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক সাবেক মন্ত্রী, মৃত মোস্তফা ফারুক মুহাম্মদ এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিল্ড কমান্ডার আব্দুস সাত্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুরর হমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনসার আলীর সাথে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম। এসব যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার বিভিন্ন সার্টিফিকেট ও সম্মাননা সনদ রয়েছে।
তিনি আরো জানান, ৮ নম্বর সেক্টরের শার্শা, ঝিকরগাছা উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। দীর্ঘ ৫২ বছর পার হলেও মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় তার নাম নেই। পান না কোন সরকারি ভাতা।
২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি সাংবাদিক বাবুল মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ খ ম মোজাম্মেল হকের নিকট আবেদন করেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্র দেখে আবেদনে সুপারিশ করেন এবং জি ডি নম্বর দেন। পরবর্তীতে ২০২২ সালে ১৭ মে জামুকায় আপিল করেন। কিন্তু আপিল মঞ্জুর হয়েছে কি না জানতে পারেননি। এমনকি কোন প্রকার ভাতাও পাননি। বর্তমানে তিনি রোগাগ্রস্থ হয়ে অর্থনৈতিক ভাবে দুরাবস্থার মধ্যে জীবনযাপন করছেন।
সাম্প্রতিক বাংলা-ডট
ট্যাগ :
জনপ্রিয়

যশোরের শার্শায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও রোগমুক্তি কামনায় দোয়া-মাহফিল

মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ প্রমাণ আছে, তবুও তালিকায় নাম নেই বাবুলের

প্রকাশের সময় : ০৫:৫২:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩
শহিদ জয়, প্রতিনিধি যশোর 
বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণকারী সাংবাদিক নজরুল ইসলাম বাবুল আজ অর্থনৈতিক দুরাবস্থার মধ্যে জীবনযাপন করছে।
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার কাউড়িয়া গ্রামের সাংবাদিক বাবুল জানান, তিনি ১৯৫৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ শুনে তিনি ঝাপিয়ে পড়েন মুক্তিযুদ্ধে। যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
বাবুল জানান, তৎকালীন মুজিব বাহিনীর প্রধান আলী হোসেন মনির নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক সাবেক মন্ত্রী, মৃত মোস্তফা ফারুক মুহাম্মদ এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিল্ড কমান্ডার আব্দুস সাত্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুরর হমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনসার আলীর সাথে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম। এসব যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার বিভিন্ন সার্টিফিকেট ও সম্মাননা সনদ রয়েছে।
তিনি আরো জানান, ৮ নম্বর সেক্টরের শার্শা, ঝিকরগাছা উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। দীর্ঘ ৫২ বছর পার হলেও মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় তার নাম নেই। পান না কোন সরকারি ভাতা।
২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি সাংবাদিক বাবুল মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ খ ম মোজাম্মেল হকের নিকট আবেদন করেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্র দেখে আবেদনে সুপারিশ করেন এবং জি ডি নম্বর দেন। পরবর্তীতে ২০২২ সালে ১৭ মে জামুকায় আপিল করেন। কিন্তু আপিল মঞ্জুর হয়েছে কি না জানতে পারেননি। এমনকি কোন প্রকার ভাতাও পাননি। বর্তমানে তিনি রোগাগ্রস্থ হয়ে অর্থনৈতিক ভাবে দুরাবস্থার মধ্যে জীবনযাপন করছেন।
সাম্প্রতিক বাংলা-ডট