সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্রীনগরে সালিশ বৈঠকে সন্ত্রাসী হামলা, আহত ৩

শ্রীনগরে সালিশ বৈঠকে সন্ত্রাসী হামলা

শহিদ শেখ, প্রতিনিধি মুন্সিগঞ্জ ।।
মুন্সীগঞ্জে শ্রীনগর উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ বৈঠকে ডেকে নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল হোসেন বাবুর উপস্থিতিতে সন্ত্রাসী হামলা অভিযোগ উঠেছে।
এ সময় জবেদা হক (৬৫), মিজানুর রহমান  জাবেদ(৩২) ও ফজল হক(৭২) নামে ৩ জন আহত হয়েছে। আহতদের শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৬ই ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুকুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গত ১লা ফেব্রুয়ারি  শত্রুতা জেরে কুকুটিয়া ইউনিয়নের টুনিয়া মান্দ্রা গ্রামের ফজল হক ও তার স্ত্রী জবেদা বেগমকে একই গ্রামের নুরুল বেপারী(৫৫) তার লোক নিয়ে মারধর করে। এবিষয়ে  শ্রীনগর থানায় ৪ফেব্রুয়ার একটি মামলা করে ভুক্তভোগীরা। পরবর্তীতে পুনরায় নুরুল বেপারী ফজল হককে হুমকি দিলে ৮ফেব্রুয়ারি থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করে। আজ ১৬ ফেব্রুয়ারী ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য তপন হোসেন ইউনিয়ন পরিষদে ফজল হক ও তার স্ত্রী ছেলেকে সালিশের মাধ্যমে  আপোষ মিমাংসার জন্য  ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলা শেষে চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতেই  তাদের উপর সন্ত্রাসী আমরা চালানো হয়।
ভুক্তভোগী জবেদা হকের স্বামী ফজল হোক জানান, নুরুল হকের সাথে বিবাদ মীমাংসার জন্য পুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল হোসেন বাবু ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার এর মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে নিয়ে যায়। চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা শেষ করে রুম থেকে বের হতেই টুকুটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা, ড্রেজার সিরাজ, সাজু, দুদু ও নুরুল বেপারী, জাহাঙ্গীরসহ ৪০/৪৫জন আমদের উপর সন্ত্রাসী হামলা করে। এ সময় আমার স্ত্রী হতার উদ্দেশ্যে তার মাথায় দাড়ালো ছুরি দিয়ে কোপ দেয় সাথে মাথা ফেটে যায় ও সেখানে ৬টি শিলি দেওয়া হয়। আমার ছেলে জাবেদকে ও আমাকে মেরে গুরুতর জখম করে। আমি সন্ত্রাসীদের বিচার চাই।
৫ নং ওয়ার্ডই সদস্য তপন হোসেন বলেন, ওদের দুই গ্রুপে পুরনো মামলা ছিল সেটি সমাধানের জন্য চেয়ারম্যান আমাকে তাদের ডেকে আনতে বললে আমি তাদের ডেকে নিয়ে আসি। সেখানে চেয়ারম্যান এর সাথে আলাপ আলোচনা শেষে তারা বের হয়ে গেলে কে বা কারা তাদের উপর হামলা করে সেটা ওরাই বলতে পারবে।
কুকুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল হোসেন বাবু বলেন, আজকে সালিশ ছিল না তবে তাদের সালিশের বিষয় নিয়ে কথা বলতেছিলাম। কথা শেষ করে আমি গাড়িতে উঠে যাওয়ার পরে তাদের ওপর হামলার  ঘটনা ঘটছে। আমি সুনে সেখানে মেম্বার দের পাঠিয়েছি।
শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাম্প্রতিক বাংলা-ডট
ট্যাগ :
জনপ্রিয়

যশোরের শার্শায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও রোগমুক্তি কামনায় দোয়া-মাহফিল

শ্রীনগরে সালিশ বৈঠকে সন্ত্রাসী হামলা, আহত ৩

প্রকাশের সময় : ০৭:০৫:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
শহিদ শেখ, প্রতিনিধি মুন্সিগঞ্জ ।।
মুন্সীগঞ্জে শ্রীনগর উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ বৈঠকে ডেকে নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল হোসেন বাবুর উপস্থিতিতে সন্ত্রাসী হামলা অভিযোগ উঠেছে।
এ সময় জবেদা হক (৬৫), মিজানুর রহমান  জাবেদ(৩২) ও ফজল হক(৭২) নামে ৩ জন আহত হয়েছে। আহতদের শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৬ই ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুকুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গত ১লা ফেব্রুয়ারি  শত্রুতা জেরে কুকুটিয়া ইউনিয়নের টুনিয়া মান্দ্রা গ্রামের ফজল হক ও তার স্ত্রী জবেদা বেগমকে একই গ্রামের নুরুল বেপারী(৫৫) তার লোক নিয়ে মারধর করে। এবিষয়ে  শ্রীনগর থানায় ৪ফেব্রুয়ার একটি মামলা করে ভুক্তভোগীরা। পরবর্তীতে পুনরায় নুরুল বেপারী ফজল হককে হুমকি দিলে ৮ফেব্রুয়ারি থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করে। আজ ১৬ ফেব্রুয়ারী ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য তপন হোসেন ইউনিয়ন পরিষদে ফজল হক ও তার স্ত্রী ছেলেকে সালিশের মাধ্যমে  আপোষ মিমাংসার জন্য  ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলা শেষে চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতেই  তাদের উপর সন্ত্রাসী আমরা চালানো হয়।
ভুক্তভোগী জবেদা হকের স্বামী ফজল হোক জানান, নুরুল হকের সাথে বিবাদ মীমাংসার জন্য পুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল হোসেন বাবু ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার এর মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে নিয়ে যায়। চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা শেষ করে রুম থেকে বের হতেই টুকুটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা, ড্রেজার সিরাজ, সাজু, দুদু ও নুরুল বেপারী, জাহাঙ্গীরসহ ৪০/৪৫জন আমদের উপর সন্ত্রাসী হামলা করে। এ সময় আমার স্ত্রী হতার উদ্দেশ্যে তার মাথায় দাড়ালো ছুরি দিয়ে কোপ দেয় সাথে মাথা ফেটে যায় ও সেখানে ৬টি শিলি দেওয়া হয়। আমার ছেলে জাবেদকে ও আমাকে মেরে গুরুতর জখম করে। আমি সন্ত্রাসীদের বিচার চাই।
৫ নং ওয়ার্ডই সদস্য তপন হোসেন বলেন, ওদের দুই গ্রুপে পুরনো মামলা ছিল সেটি সমাধানের জন্য চেয়ারম্যান আমাকে তাদের ডেকে আনতে বললে আমি তাদের ডেকে নিয়ে আসি। সেখানে চেয়ারম্যান এর সাথে আলাপ আলোচনা শেষে তারা বের হয়ে গেলে কে বা কারা তাদের উপর হামলা করে সেটা ওরাই বলতে পারবে।
কুকুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল হোসেন বাবু বলেন, আজকে সালিশ ছিল না তবে তাদের সালিশের বিষয় নিয়ে কথা বলতেছিলাম। কথা শেষ করে আমি গাড়িতে উঠে যাওয়ার পরে তাদের ওপর হামলার  ঘটনা ঘটছে। আমি সুনে সেখানে মেম্বার দের পাঠিয়েছি।
শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাম্প্রতিক বাংলা-ডট