সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যশোর জেনারেল হাসপাতালে দুদকের অভিযান

  • যশোর প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৫২:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৭৪ বার পড়া হয়েছে

যশোরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যশোর সমন্বিত কার্যালয়ের অভিযান চালিয়েছে। রোববার বেলা দুইটা থেকে বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত প্রায় আড়াই ঘন্টা যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আল-আমিনের নেতৃত্বে এঅভিযান চলে।

অভিযানে দুদকের ডিডি তহিদুল ইসলাম, ডিডি চিরঞ্জিব নিয়োগীসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। হাসপাতালের পক্ষে আরএমও ডা. হাবিবা সিদ্দীকা ফোয়ারা অভিযানে সহযোগিতা করেন।

দুদকের দল হাসপাতালের রান্নাঘর, ডায়রিয়া ওয়ার্ড ও প্লাস্টার রুমে বিভিন্ন অনিয়ম খুঁজে পান। এর মধ্যে রান্নাঘরে খাবারের নিম্নমান ও পরিমাণ ঘাটতির অভিযোগ উঠে। রোগীদের জন্য নির্ধারিত চিকন চালের পরিবর্তে মোটা চাল,ছোট সাইজের ডিম, নিম্নমানের লবণ-পেঁয়াজ-রসুন এবং কম পরিমাণ ভাত-পাউরুটি সরবরাহ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১৬০ পিছ স্যালাইন মজুদ থাকা সত্ত্বেও রোগীদের বাইরের দোকান থেকে স্যালাইন কিনতে বলা হয় বলে দুদককে জানানো হয়। প্লাস্টার রুমে দেখা যায়, আউটসোর্সিংয়ের বাইরে কর্মীরা প্লাস্টার সেবা দিয়ে রোগীদের কাছ থেকে ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছেন।

এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.হোসাইন শাফায়েতকে অবহিত করা হলে তিনি যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

উল্লেখ্য, যশোর জেনারেল হাসপাতালে খাবার সরবরাহে দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম চলছে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে টেন্ডার জটিলতার কারণে বর্তমানে রোগী প্রতি ১৭৫ টাকার বরাদ্দ থাকলেও ১২৫ টাকার পুরনো চুক্তি অনুযায়ী খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। ভ্যাট-ট্যাক্স বাদ দিলে প্রতি রোগীর জন্য বরাদ্দ থাকে মাত্র ১১৩ টাকা, যার ফলে মানসম্মত খাবার সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

যশোরের শার্শায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও রোগমুক্তি কামনায় দোয়া-মাহফিল

যশোর জেনারেল হাসপাতালে দুদকের অভিযান

প্রকাশের সময় : ০৮:৫২:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

যশোরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যশোর সমন্বিত কার্যালয়ের অভিযান চালিয়েছে। রোববার বেলা দুইটা থেকে বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত প্রায় আড়াই ঘন্টা যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আল-আমিনের নেতৃত্বে এঅভিযান চলে।

অভিযানে দুদকের ডিডি তহিদুল ইসলাম, ডিডি চিরঞ্জিব নিয়োগীসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। হাসপাতালের পক্ষে আরএমও ডা. হাবিবা সিদ্দীকা ফোয়ারা অভিযানে সহযোগিতা করেন।

দুদকের দল হাসপাতালের রান্নাঘর, ডায়রিয়া ওয়ার্ড ও প্লাস্টার রুমে বিভিন্ন অনিয়ম খুঁজে পান। এর মধ্যে রান্নাঘরে খাবারের নিম্নমান ও পরিমাণ ঘাটতির অভিযোগ উঠে। রোগীদের জন্য নির্ধারিত চিকন চালের পরিবর্তে মোটা চাল,ছোট সাইজের ডিম, নিম্নমানের লবণ-পেঁয়াজ-রসুন এবং কম পরিমাণ ভাত-পাউরুটি সরবরাহ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১৬০ পিছ স্যালাইন মজুদ থাকা সত্ত্বেও রোগীদের বাইরের দোকান থেকে স্যালাইন কিনতে বলা হয় বলে দুদককে জানানো হয়। প্লাস্টার রুমে দেখা যায়, আউটসোর্সিংয়ের বাইরে কর্মীরা প্লাস্টার সেবা দিয়ে রোগীদের কাছ থেকে ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছেন।

এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.হোসাইন শাফায়েতকে অবহিত করা হলে তিনি যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

উল্লেখ্য, যশোর জেনারেল হাসপাতালে খাবার সরবরাহে দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম চলছে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে টেন্ডার জটিলতার কারণে বর্তমানে রোগী প্রতি ১৭৫ টাকার বরাদ্দ থাকলেও ১২৫ টাকার পুরনো চুক্তি অনুযায়ী খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। ভ্যাট-ট্যাক্স বাদ দিলে প্রতি রোগীর জন্য বরাদ্দ থাকে মাত্র ১১৩ টাকা, যার ফলে মানসম্মত খাবার সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।