সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যশোরে সাপের কামড়ে প্রাণ গেল স্কুলছাত্রের

  • যশোর প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৪৫:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫
  • ৪১ বার পড়া হয়েছে

প্রতীকী ছবি

যশোরে সাপের কামড়ে ফাইম হোসেন (১২) নামের ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী প্রাণ হারিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে যশোর সদর উপজেলার সিরাজসিঙ্গা উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফাইম হোসেন ওই গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে। সে কুয়াদা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র ছিলো।

মৃত ফাইমের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে নিজ বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় ফাইমকে হঠাৎ একটি বিষধর সাপ কামড়ে দেয়। যন্ত্রণা অনুভব করেই ঘুম ভেঙে যায় তার। পরিবারের সদস্যরা প্রথমে বিষয়টি বুঝতে না পেরে স্থানীয় এক ওঝার কাছে নিয়ে যান। ওই ওঝা ঝাড়ফুঁক করে ফাইমকে বাড়িতে ফেরত পাঠিয়ে দেন।

বাড়ি ফেরার কিছু সময় পর ফাইমের মুখ দিয়ে গ্যাজা বের হতে শুরু করে এবং তার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। এরপর সকাল ১০টার দিকে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গুরুতর অবস্থায় তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফাইম মারা যায়।

এদিকে ফাইমের অকাল মৃত্যুতে গ্রামজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন তার বাবা-মা। শোকে মুহ্যমান স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। শিশুটিকে হারিয়ে শুধু পরিবার নয়, সহপাঠী, শিক্ষক এবং প্রতিবেশীরাও শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েছেন।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

যশোরের শার্শায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও রোগমুক্তি কামনায় দোয়া-মাহফিল

যশোরে সাপের কামড়ে প্রাণ গেল স্কুলছাত্রের

প্রকাশের সময় : ০৯:৪৫:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫

যশোরে সাপের কামড়ে ফাইম হোসেন (১২) নামের ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী প্রাণ হারিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে যশোর সদর উপজেলার সিরাজসিঙ্গা উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফাইম হোসেন ওই গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে। সে কুয়াদা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র ছিলো।

মৃত ফাইমের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে নিজ বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় ফাইমকে হঠাৎ একটি বিষধর সাপ কামড়ে দেয়। যন্ত্রণা অনুভব করেই ঘুম ভেঙে যায় তার। পরিবারের সদস্যরা প্রথমে বিষয়টি বুঝতে না পেরে স্থানীয় এক ওঝার কাছে নিয়ে যান। ওই ওঝা ঝাড়ফুঁক করে ফাইমকে বাড়িতে ফেরত পাঠিয়ে দেন।

বাড়ি ফেরার কিছু সময় পর ফাইমের মুখ দিয়ে গ্যাজা বের হতে শুরু করে এবং তার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। এরপর সকাল ১০টার দিকে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গুরুতর অবস্থায় তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফাইম মারা যায়।

এদিকে ফাইমের অকাল মৃত্যুতে গ্রামজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন তার বাবা-মা। শোকে মুহ্যমান স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। শিশুটিকে হারিয়ে শুধু পরিবার নয়, সহপাঠী, শিক্ষক এবং প্রতিবেশীরাও শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েছেন।