
যশোরের শার্শায় প্রতিবেশী ভাবিকে ধর্ষণ করতে গিয়ে পুরুষাঙ্গ হারিয়েছেন মফিজুল ইসলাম (৪৫) নামের দেবর। সোমবার (১৮ আগস্ট) ভোরে নিজ বাড়ি থেকে মফিজুলকে আটক করে শার্শা থানা পুলিশ। এর আগে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) মধ্যরাতে উপজেলার কায়বা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত মফিজুল ইসলাম উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের পাড়ের কায়বা গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার মধ্যরাতে বাড়ির পাশে নির্জন জায়গায় ভাবিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন তার দেবর মফিজুল ইসলাম। নিজের সম্মান রক্ষার্থে ভাবি ধারালো অস্ত্র দিয়ে দেবরের পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছেন। মারাত্মক জখম অবস্থায় মফিজুল ইসলাম চন্দনপুর গ্রামের এক গ্রামীণ চিকিৎসকের কাছে যান এবং সেখানে আটটি সেলাই দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই মফিজুল ইসলাম তার ভাবির মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক চলছিল। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ বৈঠকও হয়েছে। তবে এসবের পরও আবার এমন ঘটনা ঘটায় গ্রামবাসী বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ।
ঘটনার বিষয়ে ভাবি বলেন, প্রতিবেশী দেবর আমাকে দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্ত করে আসছে। আমি বাধ্য হয়ে এ কাজ করেছি।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ভিকটিম সোমবার রাতেই ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেন। সোমবার ভোরে নিজ বাড়ি থেকে অভিযুক্ত মফিজুলকে আটক করা হয়।