সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝালমুড়ি বিক্রেতার বিদ্যুৎ বিল ১১ লাখ টাকা

ছবি-সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরে মাত্র দুটি বাল্ব, দুটি ফ্যান ও একটি ফ্রিজ চালিয়ে এক মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে প্রায় ১১ লাখ টাকা। হঠাৎ এমন অস্বাভাবিক বিল পেয়ে হতবাক তিনি। ভুক্তভোগীর নাম মো. আবদুল মান্নান। তিনি একজন ঝালমুড়ি বিক্রেতা।

বুধবার (৩০ জুলাই) ময়মনসিংহ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর শ্রীপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আনোয়ারুল আলম বিলের বিষয়টিকে ‘ভুল’ বলে জানিয়েছেন।

ভুক্তভোগী ঝালমুড়ি বিক্রেতা আবদুল মান্নান জানান, তার স্ত্রী মর্জিনা বেগমের নামে বাড়ির জন্য পল্লী বিদ্যুতের একটি মিটার রয়েছে। রোববার দুপুরে জুলাই মাসের বিদ্যুৎ বিল হাতে পান তিনি। বিলের পরিমাণ দেখানো হয় ১০ লাখ ৯২ হাজার ৮৬৪ টাকা। অথচ এর আগে এপ্রিল মাসে ১৪০ টাকা, মে মাসে ১১৫ টাকা এবং জুন মাসে ১২৬ টাকা বিল পরিশোধ করেছিলেন।

মান্নান বলেন, আমরা গরিব মানুষ, সারাজীবনে এত বিদ্যুৎ ব্যবহার করিনি। এখন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে বারবার দৌড়াতে হবে। এতে আমাদের মারাত্মক হয়রানি হচ্ছে।

ময়মনসিংহ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর শ্রীপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আনোয়ারুল আলম বলেন, এটি স্পষ্টতই একটি ভুল বিল। বিষয়টি আমরা দেখেছি, শিগগিরই বিল সংশোধন করা হবে। পাশাপাশি দায়ী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

যশোরের শার্শায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও রোগমুক্তি কামনায় দোয়া-মাহফিল

ঝালমুড়ি বিক্রেতার বিদ্যুৎ বিল ১১ লাখ টাকা

প্রকাশের সময় : ০৯:০৬:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

গাজীপুরের শ্রীপুরে মাত্র দুটি বাল্ব, দুটি ফ্যান ও একটি ফ্রিজ চালিয়ে এক মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে প্রায় ১১ লাখ টাকা। হঠাৎ এমন অস্বাভাবিক বিল পেয়ে হতবাক তিনি। ভুক্তভোগীর নাম মো. আবদুল মান্নান। তিনি একজন ঝালমুড়ি বিক্রেতা।

বুধবার (৩০ জুলাই) ময়মনসিংহ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর শ্রীপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আনোয়ারুল আলম বিলের বিষয়টিকে ‘ভুল’ বলে জানিয়েছেন।

ভুক্তভোগী ঝালমুড়ি বিক্রেতা আবদুল মান্নান জানান, তার স্ত্রী মর্জিনা বেগমের নামে বাড়ির জন্য পল্লী বিদ্যুতের একটি মিটার রয়েছে। রোববার দুপুরে জুলাই মাসের বিদ্যুৎ বিল হাতে পান তিনি। বিলের পরিমাণ দেখানো হয় ১০ লাখ ৯২ হাজার ৮৬৪ টাকা। অথচ এর আগে এপ্রিল মাসে ১৪০ টাকা, মে মাসে ১১৫ টাকা এবং জুন মাসে ১২৬ টাকা বিল পরিশোধ করেছিলেন।

মান্নান বলেন, আমরা গরিব মানুষ, সারাজীবনে এত বিদ্যুৎ ব্যবহার করিনি। এখন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে বারবার দৌড়াতে হবে। এতে আমাদের মারাত্মক হয়রানি হচ্ছে।

ময়মনসিংহ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর শ্রীপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আনোয়ারুল আলম বলেন, এটি স্পষ্টতই একটি ভুল বিল। বিষয়টি আমরা দেখেছি, শিগগিরই বিল সংশোধন করা হবে। পাশাপাশি দায়ী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।