সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ

ভুয়া নারী সেনা কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

ছবি-সংগৃহীত

চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে এক কলেজছাত্রীর কাছ থেকে ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে মুনমুন আক্তার (৩০) নামের এক ভুয়া নারী সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বগুড়ার ধুনট থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাতে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বানিয়াপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

শুক্রবার (১১ জুলাই) দুপুরে ধুনট থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে তাকে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত মুনমুন আক্তার ওই গ্রামের মোকলেসার রহমানের মেয়ে।

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল আলম জানান, মুনমুন নিজেকে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছিলেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের মাধবডাঙ্গা গ্রামের আতিয়া খাতুন (১৯) কাজিপুর সরকারি মুনছুর আলী ডিগ্রি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। ২০২৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ফেসবুকে তার পরিচয় হয় মুনমুন আক্তার ও তার ভাই রাসেল রহমানের সঙ্গে।

তারা আতিয়াকে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় দফায় দফায় ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেয়। পরে চাকরি না দিয়ে আতিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে আত্মগোপনে চলে যায়।

টাকা ফেরত পেতে একাধিকবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন আতিয়া। পরবর্তীতে তিনি ধুনট থানায় মুনমুন আক্তার, রাসেল রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন। ওসি সাইদুল আলম আরও জানান, মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

যশোরের শার্শায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও রোগমুক্তি কামনায় দোয়া-মাহফিল

১৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ

ভুয়া নারী সেনা কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

প্রকাশের সময় : ০৩:২৩:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে এক কলেজছাত্রীর কাছ থেকে ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে মুনমুন আক্তার (৩০) নামের এক ভুয়া নারী সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বগুড়ার ধুনট থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাতে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বানিয়াপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

শুক্রবার (১১ জুলাই) দুপুরে ধুনট থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে তাকে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত মুনমুন আক্তার ওই গ্রামের মোকলেসার রহমানের মেয়ে।

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল আলম জানান, মুনমুন নিজেকে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছিলেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের মাধবডাঙ্গা গ্রামের আতিয়া খাতুন (১৯) কাজিপুর সরকারি মুনছুর আলী ডিগ্রি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। ২০২৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ফেসবুকে তার পরিচয় হয় মুনমুন আক্তার ও তার ভাই রাসেল রহমানের সঙ্গে।

তারা আতিয়াকে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় দফায় দফায় ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেয়। পরে চাকরি না দিয়ে আতিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে আত্মগোপনে চলে যায়।

টাকা ফেরত পেতে একাধিকবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন আতিয়া। পরবর্তীতে তিনি ধুনট থানায় মুনমুন আক্তার, রাসেল রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন। ওসি সাইদুল আলম আরও জানান, মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।