
ইরান ও ইসরায়েলের ক্রমবর্ধমান সংঘাতকে উসকে দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করেছে চীন। ট্রাম্প তেহরানের বাসিন্দাদের ‘অবিলম্বে সরে যেতে’ বলার পর চীন এই অভিযোগ তোলে।
এদিকে তেহরানে বিস্ফোরণের ফলে বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
আল-জাজিরা জানায়, বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র উদ্বেগ এবং ভয়ের অনুভূতি রয়েছে। তবে মজার বিষয় হলো, রাজধানীতে যারা রয়ে গেছেন তাদের মধ্যেও এক স্বতন্ত্র সংহতির অনুভূতি রয়েছে। তবে, বিস্ফোরণ এবং ইসরায়েলের বারবার সতর্কীকরণ বার্তার প্রতিক্রিয়ায় জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ তেহরান ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অন্যদিকে, তেহরান-ভিত্তিক ইরান-বিষয়ক বিশ্লেষক আবাস আসলানি বলেন, হত্যাকাণ্ড এবং ক্রমবর্ধমান কঠোর হুমকির মাধ্যমে ইসরায়েল ইরানে ‘মানসিক যুদ্ধ’ চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, ইসরায়েলের আক্রমণ ও হুমকি ইরানে ভয় বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিবর্তে জাতীয় ঐক্যের একটি শক্তিশালী অনুভূতি তৈরি করেছে।
ইসরায়েলি হামলা ‘দেশটিকে (ইরান) প্রতিশোধ নেওয়া থেকে বিরত রাখতে পারবে না।’
এদিকে ইরানি গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি আবাসিক ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির জাতীয় সংবাদসংস্থা আইআরএনএ এই ঘটনায় রেড ক্রিসেন্টের উদ্ধার অভিযানের একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে। সূত্র- আল জাজিরা