সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আগামী বাংলাদেশের জন্য নতুন গঠনতন্ত্রের প্রয়োজন: ফরহাদ মজহার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৫৩:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৭৩ বার পড়া হয়েছে

ছবি-সংগৃহীত

কবি, দার্শনিক, মানবাধিকার কর্মী ও পরিবেশবাদী ফরহাদ মজহার মন্তব্য করেছেন- আগামী বাংলাদেশের জন্য নতুন সংবিধান না, নতুন গঠনতন্ত্রের প্রয়োজন।

আজ শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ফরহাদ মজহার এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আপনারা অনেকেই বলছেন বিপ্লব, তবে এটা কিন্তু বিপ্লব না এটা গণঅভ্যুত্থান। ফলে এখনকার যে লড়াই হবে সাংস্কৃতিক লড়াই। যেটা অপূর্ণ যা আমরা করতে পারিনি সেটাকে সম্পূর্ণ করার লড়াই। আর এ সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদেরকে আগামী বৃহত্তর লড়াইয়ের জন্য তৈরি হতে হবে। আর এ বৃহত্তর লড়াইটা হবে নতুন গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করা। ছাত্ররা কিন্তু প্রথম থেকেই বলছে বাংলাদেশের জন্য নতুন গঠনতন্ত্র প্রয়োজন, নতুন সংবিধান বা আইন না।

ফরহাদ মজহার আরও বলেন, গঠনতন্ত্র মানে কিন্তু আইন না, তবে সংবিধান মানে হচ্ছে আইন। আর আমরা কিন্তু ঔপনিবেশিক শাসক না। ইংরেজরা আইন প্রণয়ন করে আর জনগণ গঠনতন্ত্র করে। আর এ পার্থক্যটাই মনে রাখতে হবে। তার মানে আপনি যখনই সংবিধান বলবেন আপনি ঔপনিবেশিক একজন শাসক। তখন আপনি লুটেরা মাফিয়াতন্ত্রের ন্যায় একজন শাসক। আপনি একটা আইন দিয়ে গরিবদের শাসন করবেন।

তিনি বলেন, আর গঠনতন্ত্র মানে জনগণ নিজেরাই অংশগ্রহণ করবে। তারা পরস্পরের সঙ্গে কীভাবে বাস করবে এটা তারা তৈরি করে। আর এখানে তারা সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দেয় এবং সেখান থেকে শিক্ষা নেয়, কোনটাকে বর্জন করবে কোনটাকে রাখবে। আর এটাকেই এ সরকার দুটি বিষয় করে দেখিয়ে দিয়েছে। একটি হচ্ছে চৈত্র সংক্রান্তি এবং অপরটি হচ্ছে নববর্ষ।

ফরহাদ মজহার বলেন, নববর্ষের পরে আমি অনেক পত্রিকা দেখেছি, অধিকাংশ পত্রিকা বুঝতে পারেনি এ সরকার এ দুইটি প্রোগ্রামের মাধ্যমে জনগণকে কী বার্তা দিতে চাচ্ছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

যশোরের শার্শায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও রোগমুক্তি কামনায় দোয়া-মাহফিল

আগামী বাংলাদেশের জন্য নতুন গঠনতন্ত্রের প্রয়োজন: ফরহাদ মজহার

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৩:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

কবি, দার্শনিক, মানবাধিকার কর্মী ও পরিবেশবাদী ফরহাদ মজহার মন্তব্য করেছেন- আগামী বাংলাদেশের জন্য নতুন সংবিধান না, নতুন গঠনতন্ত্রের প্রয়োজন।

আজ শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ফরহাদ মজহার এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আপনারা অনেকেই বলছেন বিপ্লব, তবে এটা কিন্তু বিপ্লব না এটা গণঅভ্যুত্থান। ফলে এখনকার যে লড়াই হবে সাংস্কৃতিক লড়াই। যেটা অপূর্ণ যা আমরা করতে পারিনি সেটাকে সম্পূর্ণ করার লড়াই। আর এ সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদেরকে আগামী বৃহত্তর লড়াইয়ের জন্য তৈরি হতে হবে। আর এ বৃহত্তর লড়াইটা হবে নতুন গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করা। ছাত্ররা কিন্তু প্রথম থেকেই বলছে বাংলাদেশের জন্য নতুন গঠনতন্ত্র প্রয়োজন, নতুন সংবিধান বা আইন না।

ফরহাদ মজহার আরও বলেন, গঠনতন্ত্র মানে কিন্তু আইন না, তবে সংবিধান মানে হচ্ছে আইন। আর আমরা কিন্তু ঔপনিবেশিক শাসক না। ইংরেজরা আইন প্রণয়ন করে আর জনগণ গঠনতন্ত্র করে। আর এ পার্থক্যটাই মনে রাখতে হবে। তার মানে আপনি যখনই সংবিধান বলবেন আপনি ঔপনিবেশিক একজন শাসক। তখন আপনি লুটেরা মাফিয়াতন্ত্রের ন্যায় একজন শাসক। আপনি একটা আইন দিয়ে গরিবদের শাসন করবেন।

তিনি বলেন, আর গঠনতন্ত্র মানে জনগণ নিজেরাই অংশগ্রহণ করবে। তারা পরস্পরের সঙ্গে কীভাবে বাস করবে এটা তারা তৈরি করে। আর এখানে তারা সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দেয় এবং সেখান থেকে শিক্ষা নেয়, কোনটাকে বর্জন করবে কোনটাকে রাখবে। আর এটাকেই এ সরকার দুটি বিষয় করে দেখিয়ে দিয়েছে। একটি হচ্ছে চৈত্র সংক্রান্তি এবং অপরটি হচ্ছে নববর্ষ।

ফরহাদ মজহার বলেন, নববর্ষের পরে আমি অনেক পত্রিকা দেখেছি, অধিকাংশ পত্রিকা বুঝতে পারেনি এ সরকার এ দুইটি প্রোগ্রামের মাধ্যমে জনগণকে কী বার্তা দিতে চাচ্ছে।