প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ১, ২০২৫, ৯:৩৩ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ এপ্রিল ১৬, ২০২৫, ৮:১১ পি.এম
সাবেক উপ-উপাচার্যের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, ইবি প্রশাসনের নেই কোনো পদক্ষেপ

ইবি প্রতিনিধি:
দুদকের করা অবৈধ নিয়োগ মামলায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। তার বিরুদ্ধে উপ-উপাচার্য থাকাকালীন অবৈধভাবে নিয়োগ ও ষাট লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এই আদেশ জারি করে আদালত। এ দিকে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এ ছাড়া উপ-উপাচার্য থাকাকালীন ইবিতে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
জানা যায়, অবৈধভাবে নিয়োগ ও সরকারি ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট তার বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদক যশোরের তৎকালীন উপ-পরিচালক মো. আল আমিন। মামলার তদন্ত শেষে তাদের অভিযুক্ত করে সম্প্রতি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে দুদক। ড. কামাল উদ্দিন ছাড়াও মামলায় অন্য অভিযুক্তরা হলেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সাত্তার এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের উপ-পরিচালক আব্দুর রউফ।
দুদকের মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০০৯ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে আবেদন করেন আসামি আব্দুর রউফ। নিয়োগের জন্য গঠিত তিন সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচনী বোর্ডের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন যবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য ড. মো. আব্দুস সাত্তার। বাছাই বোর্ডের আরেক সদস্য ছিলেন ইবির সাবেক উপ-উপাচার্য ড. কামাল উদ্দিন। একই বছরের ২২ আগস্ট মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এ সময় আরও তিন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু কাউকেই পাস করানো হয়নি।
বিজ্ঞপ্তির শর্তানুযায়ী পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে আব্দুর রউফের কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও বাছাই বোর্ড অবৈধভাবে তাকে প্রথমে সহকারী পরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তাকে সেকশন অফিসার (গ্রেড-১, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। রিজেন্ট বোর্ড সভাপতি হিসেবে সাবেক ভিসি ড. মো. আব্দুস সাত্তার উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই তাকে সেকশন অফিসার হিসেবে নিয়োগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
তাদের বিরুদ্ধে করা মামলায় গত ২৭ মার্চ দুদকের দাখিল করা চার্জশিটের উপর শুনানি শেষে যশোরের সিনিয়র স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) শেখ নাজমুল আলমের আদালত তাকে গ্রেফতারের আদেশ দেন।
এ দিকে ড. কামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে ইবির উপ-উপাচার্য থাকাকালীন শর্ত শিথিল করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়োগ, শর্ত শিথিল করে শিক্ষক নিয়োগ, নিম্ন পদে আবেদন করে উচ্চ পদে নিয়োগ, ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে কোটায় নিয়োগসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
তবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এখন স্টেশনের বাইরে আছি। এই বলে তিনি ফোন কেটে দেন।
Copyright © 2023 সাম্প্রতিক বাংলাদেশ © All Rights Reserved.