যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নাভারণ ইউনিয়ন ছাত্রদলের দুইজন নেতার ওপর কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী রজব আলী তার বাহিনী নিয়ে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সম্প্রতি উপজেলার হাড়িয়া নিমতলা বাজারে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলারের গুদাম থেকে ৩০০ বস্তা চাল লুটের ঘটনায় নাভারণ ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক খায়রুজ্জামান মিনু ও রজব আলীসহ ২১ নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সেই সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার রাতে নাভারণ পুরাতন বাজারে হামলার এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই ঝিকরগাছা থানা একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন সাকিবের বাবা হারুন অর রশিদ হান্টু।

হামলা শিকার আহত দুই ছাত্রদল নেতা হলেন, নাভারণ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মরহুম খোরশেদ আলমের ছেলে খায়রুল আলম সোহাগ (২৫) ও একই ইউনিয়নের বিএনপি নেতা হারুন অর রশিদ হান্টুর ছেলে মনোয়ার হোসেন সাকিব (২১)।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাত ৮ টার দিকে ছাত্রদল নেতা সোহাগ ও সাকিব নাভারণ পুরাতন বাজার থেকে তারা বাড়ি যাচ্ছিলেন। আগে থেকেই  বাজারে দলবল নিয়ে ওৎ পেতে ছিলেন সন্ত্রাসী রজব আলী ও তার ছেলে জুয়েল হোসেন, মফিজুর রহমান ও মনিরুলসহ আরও ৫-৭ জন। এসময় রজব আলী তার বাহিনী নিয়ে বাজার প্রাঙ্গণে দেশীয় অস্ত্র, লোহা পাইপ ও লোহার রড নিয়ে আচমকা হামলা করেন ছাত্রদল নেতা সোহাগ ও সাকিবের ওপর। এতে সোহাগের মাথা ফেটে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় এবং সাকিবও আহত হন।পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

ছাত্রদল নেতা সাকিব বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের লোকজনের সঙ্গে রজব আলীর রমরমা মাদক ব্যবসা ছিল। এর আগে রজব আলী একবার মাদকদ্রব্যসহ র‌্যাবের হাতে আটক হন। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রজব আলী সেইসব আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী লোকজনদেরকে নিয়ে এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও নির্যাতন শুরু করে। রজব আলী নাভারণ ইউনিয়নে সন্ত্রাসের রাজত্বে পরিনত করেছে। রজব আলীর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে নাভারণ ইউনিয়নে জনমনে আতংক বিরাজ করছে। কুখ্যাত সন্ত্রাসী রজব আলীকে আইনের আওতায় এনে বিচার চেয়েছেন হামলার শিকার দুই ছাত্রদল নেতা।

ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহীম আলীর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে প্রথমে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং লুকোচুরি করেন। পরে একাধিকবার কল করার পর মুঠোফোনে তিনি বলেন, আমরা ঘটনার সত্যতা পেয়েছি, অভিযোগকারীকে থানায় মামলা করার কথা বলেছি। মামলা করলে রজবের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।