
যশোরের ঝিকরগাছার সদর ইউনিয়নে বাড়িতে ঢুকে বৃদ্ধা মা-ছেলেকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। এসময় তাদের বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়। উপজেলার সদর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আজ রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) আহত ওই নারীর বড় ছেলে গোলাম মোর্তজা ছয় জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জনকেআসামি করে ঝিকরগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ১০।
আহত দুজন হলেন, ঝিকরগাছা সরকারি এমএল মডেল হাইস্কুলের সাবেক শিক্ষক মরহুম গোলাম মোস্তফার বৃদ্ধা স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৬৫)ও তার ছেলে গোলাম মাওলা (৩১)। তারা উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, গত বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত ১১ টার দিকে সন্ত্রাসী শাহিনুর রহমান (৩০), আলমগীর (২৮), আইয়ুব আলী (২৫), রুবেল হোসেন (৩০), নজরুল ইসলাম (৪৩), জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) সহ আরও ১৫-২০ জন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্র, লোহার রড, হাতুড়ি, হাসুয়া নিয়ে তাদের বাড়ির গেইটের তালা ভেঙে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে বৃদ্ধ নারী ফাতেমা বেগমকে এলোপাথাড়ি মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। এসময় ঘরে থাকা তার ছোট ছেলে গোলাম মাওলা তার বৃদ্ধা মাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা হাসুয়া দিয়ে তার মাথায় কোপ দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় তারা ঘরে ব্যাপক ভাঙচুর করে। সন্ত্রাসীরা তাদের আরেক ভাই ইউপি সদস্য সুমনকে যেখানে পাবে সেখানে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা। পরে স্থানীয়রা লোকজন এগিয়ে এসে তাদের দুজনকে উদ্ধার করে ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে তাদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। বর্তমানে তারা সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। তাদের অবস্থা এখনও সংকটাপন্ন।
এব্যাপারে ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মোঃ ইব্রাহিম আলী বলেন, শ্রীরামপুর গ্রামে হামলার ঘটনায় ঝিকরগাছা থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের আটকের অভিযান চলছে বলে তিনি জানান।