সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভ্যানে চড়ে মনোনয়ন জমা দিলেন হুইপ-স্বপন

ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি।।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পায়ে হেঁটে ও ভ্যানে চড়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন জয়পুরহাট-২ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নুসরাত জাহান বন্যা’র কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দেন তিনি।
৩০ (নভেম্বর) বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে ক্ষেতলাল উপজেলার বটতলী বাজার হতে পায়ে হেঁটে ও অটো ভ্যানে যোগে প্রথমে কালাই উপজেলা উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন হুইপ স্বপন। পরে একইভাবে ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ হয়ে আক্কেলপুর উপজেলার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এসময় রাস্তার দুপাশে হাজার হাজার কর্মী, সমর্থক ও জনসাধারণ দাঁড়িয়ে আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপির সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং ফুলের সংবর্ধনা দেন। এভাবেই পর্যায়ক্রমে (কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর) তিন উপজেলায় প্রায় ২৮ কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে ও ভ্যানে চড়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেট, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মন্ডল, সহ সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এস,এম সোলায়মান আলী, গোলাম হাক্কানী, মোমিন আহমেদ চৌধুরী, জাতীয় কমিটির সদস্য আব্দুল মজিদ মোল্লা, জেলা আওয়ামী লীগের প্রকাশনা সম্পাদক মাসুদ রেজা, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তাইফুল ইসলাম তালুকদার,
ক্ষেতলাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুজ্জামান তালুকদার নাদিম, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র সিরাজুল ইসলাম, ক্ষেতলাল উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মন্ডলসহ জেলা ও তিন উপজেলার আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিগণ, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক প্রমুখ।
কালাই-ক্ষেতলাল-আক্কেলপুর উপজেলা নিয়ে জয়পুরহাট-২ আসন গঠিত। এই আসনে বর্তমানে সংসদ সদস্য রয়েছেন আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি। তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ৫ম বারের মতো সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন এই সাংসদ। পাশাপাশি জাতীয় সংসদের হুইপের দায়িত্বে রয়েছেন। ১৯৮১ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন এই নেতা। ১৯৯১-৯২ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। ১৯৯২-৯৪ সালে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৪-৯৮ সালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০০২ সালে তিনি ছাত্র রাজনীতি থেকে চলে আসেন আওয়ামী লীগের দায়িত্বে, কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক পদ লাভ করেন। সেখানে টানা সাত বছর দায়িত্ব পালন করে ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো সাংগঠনিক সম্পাদক পদ লাভ করেন। এরপর থেকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের এই নেতা বর্তমান সময় পর্যন্ত টানা পাঁচবার একই পদে থেকে রাজনীতি করছেন। তিনি আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী ও দৃঢ় করতে রাজশাহী, খুলনা, রংপুর বিভাগের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন।
আওয়ামী লীগের এই নেতা জয়পুরহাট-২ আসনে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু তিনি ৩ হাজার ১৫৯ ভোটের ব্যবধানের বিএনপির প্রার্থী গোলাম মোস্তফা’র কাছে হেরে যান। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি আবারও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হন। সেসময় বিরোধী দলগুলো নির্বাচন বর্জন করে তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিলে আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এরপর তিনি ২০১৮ সালে পুনরায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হন। সেসময় তিনি বিএনপির প্রার্থী খলিলুর রহমানকে ২ লাখ ২ হাজার ৬১০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে নির্বাচিত হন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তিনি জাতীয় সংসদের হুইপের দায়িত্ব পান। এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দলীয় নৌকা প্রতীকে জয়পুরহাট-২ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
প্রসঙ্গত নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে আগামী ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। ৭ জানুয়ারি ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
ট্যাগ :

শার্শাের বাগআঁচড়ায় খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় দোয়া-মাহফিল 

ভ্যানে চড়ে মনোনয়ন জমা দিলেন হুইপ-স্বপন

প্রকাশের সময় : ০৮:৫০:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৩
ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি।।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পায়ে হেঁটে ও ভ্যানে চড়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন জয়পুরহাট-২ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নুসরাত জাহান বন্যা’র কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দেন তিনি।
৩০ (নভেম্বর) বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে ক্ষেতলাল উপজেলার বটতলী বাজার হতে পায়ে হেঁটে ও অটো ভ্যানে যোগে প্রথমে কালাই উপজেলা উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন হুইপ স্বপন। পরে একইভাবে ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ হয়ে আক্কেলপুর উপজেলার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এসময় রাস্তার দুপাশে হাজার হাজার কর্মী, সমর্থক ও জনসাধারণ দাঁড়িয়ে আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপির সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং ফুলের সংবর্ধনা দেন। এভাবেই পর্যায়ক্রমে (কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর) তিন উপজেলায় প্রায় ২৮ কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে ও ভ্যানে চড়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেট, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মন্ডল, সহ সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এস,এম সোলায়মান আলী, গোলাম হাক্কানী, মোমিন আহমেদ চৌধুরী, জাতীয় কমিটির সদস্য আব্দুল মজিদ মোল্লা, জেলা আওয়ামী লীগের প্রকাশনা সম্পাদক মাসুদ রেজা, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তাইফুল ইসলাম তালুকদার,
ক্ষেতলাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুজ্জামান তালুকদার নাদিম, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র সিরাজুল ইসলাম, ক্ষেতলাল উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মন্ডলসহ জেলা ও তিন উপজেলার আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিগণ, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক প্রমুখ।
কালাই-ক্ষেতলাল-আক্কেলপুর উপজেলা নিয়ে জয়পুরহাট-২ আসন গঠিত। এই আসনে বর্তমানে সংসদ সদস্য রয়েছেন আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি। তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ৫ম বারের মতো সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন এই সাংসদ। পাশাপাশি জাতীয় সংসদের হুইপের দায়িত্বে রয়েছেন। ১৯৮১ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন এই নেতা। ১৯৯১-৯২ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। ১৯৯২-৯৪ সালে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৪-৯৮ সালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০০২ সালে তিনি ছাত্র রাজনীতি থেকে চলে আসেন আওয়ামী লীগের দায়িত্বে, কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক পদ লাভ করেন। সেখানে টানা সাত বছর দায়িত্ব পালন করে ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো সাংগঠনিক সম্পাদক পদ লাভ করেন। এরপর থেকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের এই নেতা বর্তমান সময় পর্যন্ত টানা পাঁচবার একই পদে থেকে রাজনীতি করছেন। তিনি আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী ও দৃঢ় করতে রাজশাহী, খুলনা, রংপুর বিভাগের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন।
আওয়ামী লীগের এই নেতা জয়পুরহাট-২ আসনে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু তিনি ৩ হাজার ১৫৯ ভোটের ব্যবধানের বিএনপির প্রার্থী গোলাম মোস্তফা’র কাছে হেরে যান। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি আবারও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হন। সেসময় বিরোধী দলগুলো নির্বাচন বর্জন করে তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিলে আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এরপর তিনি ২০১৮ সালে পুনরায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হন। সেসময় তিনি বিএনপির প্রার্থী খলিলুর রহমানকে ২ লাখ ২ হাজার ৬১০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে নির্বাচিত হন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তিনি জাতীয় সংসদের হুইপের দায়িত্ব পান। এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দলীয় নৌকা প্রতীকে জয়পুরহাট-২ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
প্রসঙ্গত নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে আগামী ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। ৭ জানুয়ারি ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।