সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিংগাইর সায়ান রিসোর্টে দর্শনার্থীদের ভিড় 

সিংগাইর সায়ান রিসোর্ট

ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ঘুরতে যেতে বিশেষ কোনো দিনের দরকার হয় না। সময় পেলেই বের হয়ে যাওয়া যায়। আর সেই ঘুরতে যাওয়ার জায়গাটি যদি হয় সবুজে মোড়ানো প্রাকৃতিক ও নিরিবিলি পরিবেশে পরিবার পরিজন নিয়ে সময় কাটানোর মতো রিসোর্ট।
ঢাকায় বসবাস করা মানুষগুলো রমনা পার্ক আর বোটানিক্যাল গার্ডেনে ঘুরতে ঘুরতে অনেকটা ক্লান্ত হয়ে গেছেন। তার খুঁজছেন নতুন কোনো ভ্রমণ গন্তব্য। যেটি হবে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দিয়ে ঘেরা। থাকবে পাখির ডাক, শীতল বাতাস। থাকবে না কোনো কোলাহল।
তাদের জন্য ‘সায়ান রিসোর্ট’ হতে পারে শান্তির নীড়। বলছিলাম সম্প্রতি তৈরি হওয়া মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলার জামির্তা ইউনিয়নে অবস্থিত সায়ান রিসোর্টের কথা।ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পরিবার-বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে ভিড় জমাচ্ছেন রিসোর্টটিতে। পাশাপাশি বিদেশে কর্মরত বিভিন্ন প্রবাসিরা দেশে এসে সায়ান রিসোর্টে ঈদ আনন্দ উপভোগ করছেন।
এছাড়া সবুজে মোড়ানো এ রিসোর্টে রয়েছে নৌভ্রমণের ব্যবস্থা ও মাছ ধরার ব্যবস্থা। আর ছোট বাচ্চাদের জন্য আছে হরেক রকম খেলনার ব্যবস্থা‌, দেশীয় ফল, সবজি, ফুলের বাগান, বিশাল খেলার মাঠ, আধুনিক রেস্টুরেন্ট, পিকনিক স্পট, সারা দিন পাখির কলরব ও ঝিঁঝিঁ পোকার হৈচৈ।
বৃষ্টিতে রিসোর্টের প্রকৃতি সেজেছে নতুন রূপে। ফলজ ও বনজ গাছের সৌন্দর্য্যে ঈদের অবকাশ কাটাচ্ছেন দর্শনার্থীরা। বান্ধবীদের সঙ্গে ঘুরতে এসেছেন ফারহানা আক্তার রাতিয়া। তিনি প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, আশেপাশে প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘুরে বেড়ানোর তেমন কোনো জায়গা নেই। তাই আমরা ঈদ উপলক্ষে বান্ধবীরা মিলে রিসোর্টে ঘুরতে এসেছি। এটি খুবই সুন্দরভাবে সাজানো। আমরা রিসোর্টে ঘুরে ঘুরে গাছ থেকে নানা রকম ফল পেড়ে খেয়েছি আমি এখানে এর আগেও এসেছি ভালো লেগেছে সেজন্য আবারও এসেছি। তবে বৃষ্টির মধ্যে এখানে ঘোরার আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। আমরা প্রাকৃতিক পরিবেশ খুবই উপভোগ করছি।
আরেক পর্যটক প্রবাসী আব্দুল মোতালেব প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, দেশে এসেই এই রিপোর্টের নাম শুনেছি আজ এসে ঘুরে দেখার মত সৌভাগ্য হয়েছে। প্রবাসে থাকার কারণে পরিবার নিয়ে ঘুরতে যাওয়া হয় না। তাই এবার ঈদের পরবর্তী সময়টা উপভোগ করার জন্য এখানে এসেছি । এখানে এসে বাচ্চারা খুব আনন্দ করছে। তারা পুরো রিসোর্টে ছুটে বেড়াচ্ছে। ঈদের সময়টা খুবই ভালো কাটছে।
সায়ান রিসোর্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার সাইফুর রহমান সাইফ বলেন, ঈদকে সামনে রেখে রিসোর্ট খুব সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে। আমাদের রিসোর্টটা সম্পূর্ণ গ্রামের মধ্যে শহরের পরিবেশের ছোঁয়া যার কারণে আমরা ভালো সাড়া পাচ্ছি। আর আমাদের রিসোর্টটা গ্রাম অঞ্চলে হওয়ায় ঢাকা এবং ঢাকার বাহির থেকে পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। সংসদ ভবন থেকে আমাদের রিসোর্টে আসতে সর্বোচ্চ ৫০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা সময় লাগে‌। তাই ঢাকার মধ্যে থেকে যদি কেউ আসতে চায় তাহলে সকালে এসে সারাদিন ঘুরে সন্ধ্যার মধ্যেই ঢাকায় ফিরতে পারবেন। আমাদের এখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই উন্নত। সামনে আশা করছি আমাদের রিসোর্টটি আরও ভালো যাবে।
সাম্প্রতিক বাংলা-ডট
ট্যাগ :

শার্শাের বাগআঁচড়ায় খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় দোয়া-মাহফিল 

সিংগাইর সায়ান রিসোর্টে দর্শনার্থীদের ভিড় 

প্রকাশের সময় : ০৯:০৩:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুলাই ২০২৩
ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ঘুরতে যেতে বিশেষ কোনো দিনের দরকার হয় না। সময় পেলেই বের হয়ে যাওয়া যায়। আর সেই ঘুরতে যাওয়ার জায়গাটি যদি হয় সবুজে মোড়ানো প্রাকৃতিক ও নিরিবিলি পরিবেশে পরিবার পরিজন নিয়ে সময় কাটানোর মতো রিসোর্ট।
ঢাকায় বসবাস করা মানুষগুলো রমনা পার্ক আর বোটানিক্যাল গার্ডেনে ঘুরতে ঘুরতে অনেকটা ক্লান্ত হয়ে গেছেন। তার খুঁজছেন নতুন কোনো ভ্রমণ গন্তব্য। যেটি হবে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দিয়ে ঘেরা। থাকবে পাখির ডাক, শীতল বাতাস। থাকবে না কোনো কোলাহল।
তাদের জন্য ‘সায়ান রিসোর্ট’ হতে পারে শান্তির নীড়। বলছিলাম সম্প্রতি তৈরি হওয়া মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলার জামির্তা ইউনিয়নে অবস্থিত সায়ান রিসোর্টের কথা।ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পরিবার-বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে ভিড় জমাচ্ছেন রিসোর্টটিতে। পাশাপাশি বিদেশে কর্মরত বিভিন্ন প্রবাসিরা দেশে এসে সায়ান রিসোর্টে ঈদ আনন্দ উপভোগ করছেন।
এছাড়া সবুজে মোড়ানো এ রিসোর্টে রয়েছে নৌভ্রমণের ব্যবস্থা ও মাছ ধরার ব্যবস্থা। আর ছোট বাচ্চাদের জন্য আছে হরেক রকম খেলনার ব্যবস্থা‌, দেশীয় ফল, সবজি, ফুলের বাগান, বিশাল খেলার মাঠ, আধুনিক রেস্টুরেন্ট, পিকনিক স্পট, সারা দিন পাখির কলরব ও ঝিঁঝিঁ পোকার হৈচৈ।
বৃষ্টিতে রিসোর্টের প্রকৃতি সেজেছে নতুন রূপে। ফলজ ও বনজ গাছের সৌন্দর্য্যে ঈদের অবকাশ কাটাচ্ছেন দর্শনার্থীরা। বান্ধবীদের সঙ্গে ঘুরতে এসেছেন ফারহানা আক্তার রাতিয়া। তিনি প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, আশেপাশে প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘুরে বেড়ানোর তেমন কোনো জায়গা নেই। তাই আমরা ঈদ উপলক্ষে বান্ধবীরা মিলে রিসোর্টে ঘুরতে এসেছি। এটি খুবই সুন্দরভাবে সাজানো। আমরা রিসোর্টে ঘুরে ঘুরে গাছ থেকে নানা রকম ফল পেড়ে খেয়েছি আমি এখানে এর আগেও এসেছি ভালো লেগেছে সেজন্য আবারও এসেছি। তবে বৃষ্টির মধ্যে এখানে ঘোরার আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। আমরা প্রাকৃতিক পরিবেশ খুবই উপভোগ করছি।
আরেক পর্যটক প্রবাসী আব্দুল মোতালেব প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, দেশে এসেই এই রিপোর্টের নাম শুনেছি আজ এসে ঘুরে দেখার মত সৌভাগ্য হয়েছে। প্রবাসে থাকার কারণে পরিবার নিয়ে ঘুরতে যাওয়া হয় না। তাই এবার ঈদের পরবর্তী সময়টা উপভোগ করার জন্য এখানে এসেছি । এখানে এসে বাচ্চারা খুব আনন্দ করছে। তারা পুরো রিসোর্টে ছুটে বেড়াচ্ছে। ঈদের সময়টা খুবই ভালো কাটছে।
সায়ান রিসোর্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার সাইফুর রহমান সাইফ বলেন, ঈদকে সামনে রেখে রিসোর্ট খুব সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে। আমাদের রিসোর্টটা সম্পূর্ণ গ্রামের মধ্যে শহরের পরিবেশের ছোঁয়া যার কারণে আমরা ভালো সাড়া পাচ্ছি। আর আমাদের রিসোর্টটা গ্রাম অঞ্চলে হওয়ায় ঢাকা এবং ঢাকার বাহির থেকে পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। সংসদ ভবন থেকে আমাদের রিসোর্টে আসতে সর্বোচ্চ ৫০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা সময় লাগে‌। তাই ঢাকার মধ্যে থেকে যদি কেউ আসতে চায় তাহলে সকালে এসে সারাদিন ঘুরে সন্ধ্যার মধ্যেই ঢাকায় ফিরতে পারবেন। আমাদের এখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই উন্নত। সামনে আশা করছি আমাদের রিসোর্টটি আরও ভালো যাবে।
সাম্প্রতিক বাংলা-ডট