
আতিকুল ইসলাম, সিংগাইর (মানিকগঞ্জ)।।মানিকগঞ্জের সিংগাইরে গত এক মাসের তীব্র তাপদাহ ও ব্যাপক লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছে জনজীবন।
গত ১ মাসের অতিরিক্ত গরমে মানুষের জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার (৯ মে) সিংগাইরে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। এই তীব্র তাপদাহের মধ্যেই বারবার লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ছে এলাকাবাসী। প্রায় সব এলাকায়ই ৮-১০ বার লোডশেডিং হচ্ছে। ৪০ মিনিট বিদ্যুৎ থাকলে বিদ্যুৎ থাকছে না প্রায় দেড় ঘন্টা।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলা লোডশেডিংয়ে মাসুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বেচাকেনা কমে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তাপদাহের মধ্যে লোডশেডিং দেয়ায় বাসা-বাড়িসহ সর্বত্র অবস্থান নেয়া মানুষ হাঁপিয়ে উঠছে।
এ বিষয়ে সিংগাইর উপজেলার জামির্তা ইউনিয়নের সুদক্ষিরা গ্রামের দর্জি দোকানদার মনোয়ার হোসেন (মোল্লা) বলেন, কিছুক্ষণ পরপর লোডশেডিং এর জন্য কাজ করতে পারছিনা।সারাদিনে যেখানে পাঁচ থেকে ছয়টি জামার কাজ করি সেখানে বর্তমানে দুইটা জামার কাজ করা কঠিন। আর এই তীব্র গরমে দোকানে বসে থাকাই মুশকিল হয়ে পড়েছে।
উপজেলার বকচর এলাকার কৃষক মানিক মিয়া বলেন, জমির ধান পেকে আছে এই তীব্র গরমে শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কাটতে পারছি না, দু'একজন শ্রমিক পাওয়া গেলেও এই গরমে শ্রমিকের মজুরি চাচ্ছেন অনেক বেশি।
পৌর সভার একাধিক ব্যবসায়ীরা জানান, গত এক মাস ধরে তীব্র গরম। গরমের মধ্যে ঘন ঘন এবং টানা লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। এরকম চলতে থাকে আমাদের ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
এ ব্যাপারে সিংগাইর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম মো.সফিকুল ইসলাম বলেন, সিংগাইর উপজেলায় বিদ্যুতের মোট চাহিদা ৩৮ মেগাওয়াট।সেখানে সাভার ও মানিকগঞ্জ থেকে সরবরাহ হচ্ছে ১৮ মেগাওয়াট। যে কারণে লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে।তিনি আরো বলেন আশা করছি কিছু দিনের মধ্যেই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
সাম্প্রতিক বাংলা-ডট