প্রতিনিধি, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।।

ব্যাপক উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা ও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দা’ওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দা’ওয়াহ এ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন।

দিনটি উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

সকাল দশটায় বিশ্ববিদ্যালয় অনুষদ ভবনের সামনে থেকে এক বণার্ঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।

দা’ওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. শহীদ মুহাম্মদ রেজওয়ানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সদস্য ও অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু, থিওলজি এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. এইচ এ এন এম এরশাদ উল্লাহ, বিভাগীয় সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ অলী উল্লাহ, বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আফাজ উদ্দীন এবং বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ইসলামিক থটের মহাপরিচালক ড. এম আবদুল আজিজ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘অ্যালামনাইরা হলো এমন একটা প্লাটফর্ম যা আমদের অনুভূতি কে জাগ্রত করে। আজ আমরা এই অনূভতির জোরেই এক মহাবৃক্ষে পরিণত হয়েছি। এই মহাবৃক্ষের বীজ হলো এই ডিপার্টমেন্ট। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে আমরা যে উজ্জ্বল স্বপ্ন দেখছিলাম সেখানে মহামারী এসে এক মহামন্দার সৃষ্টি করেছিলো। আমাদের থমকে দিয়েছিলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অ্যালামনাই ও ব্যক্তি হিসেবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্ষেত্রে তাকে সহযোগিতা করতে হবে। এটা আমাদের দায়িত্ব। আমি আশা করছি আপনারা এই দায়িত্ব পালন করবেন। পৃথিবীর অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় যেমন তাদের অ্যালামনাইদের নিয়ে বিভিন্ন ফাউন্ডেশন ও প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। আমরাও এরকম ফাউন্ডেশন গঠন করে একটা অনার্স পড়ুয়া ছেলেও যেন ঝড়ে না পড়ে সেক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের অ্যালামনাইদের নব্য গ্রাজুয়েটদের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান দুনিয়ার সাথে খাপ খাইয়ে চলতে অনার্স পড়ুয়াদের নলেজবেজড পড়াশোনার দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। আর অবশ্যই দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে। তা না হলে গ্রাজুয়েট হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে তা কোন কাজে আসবে না। তাই সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে গ্রাজুয়েটদের এই আদর্শ ও মূল্যবোধ লালন করে এগিয়ে যেতে হবে, তবেই উজ্জ্বল বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব হবে।’

উল্লেখ্য এর আগে গতকাল শুক্রবার বিভাগের অ্যালামনাইদের উপস্থিতিতে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেখানে বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা অভিনয়, কৌতুক গানসহ বিভিন্ন বিষয়ে মঞ্চস্থ করেন।

সাম্প্রতিক বাংলা-ডট