সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ক্যান্সার আক্রান্ত ৯ বছরের শিশুটি বাঁচতে চায়

ক্ষেতলালে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু পলাশ রহমান

ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
ক্ষেতলালে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু পলাশ রহমান বাঁচতে চায়। মাত্র ৯ বছর বয়সী শিশু পলাশ আর দশ জন শিশুরমত দুরন্তপনায় মাতিয়ে রাখত প্রিয় শিক্ষাঙ্গন ও খেলার মাঠ, কিন্তু সে এখন দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে বাঁচার আকুতি জানাচ্ছে।
পলাশ রহমান ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের আয়মাপুর পূর্বপাড়া আবাসনে বসবাসকারী হতদরিদ্র দিনমজুর মিজানুর রহমান ও পলি আখতারের ছেলে। সে আয়মাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, হতদরিদ্র দিনমজুর মিজানুরের এক মাত্র ছেলে পলাশ রহমান। গত কয়েক মাস আগে পলাশ রহমান হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় চিকিৎসকদের পরামর্শে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নিয়ে যান মা পলি আখতার।
হাসপাতালে ভর্তির পর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর শেষে পলাশের ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ে। আর ওই পর্যন্ত চিকিৎসা খরচ যোগান দিতেই সর্বস্বান্ত হয় তার পরিবার। এখন পলাশের চিকিৎসা ব্যয় বহন করা তাদের দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। তার ওপর প্রতি সপ্তাহে রক্তদিতে হচ্ছে পলাশের শরীরে। রক্তদিতে না পারলে ক্রমশয় দূর্বল হয়ে পড়ায় বেড়ে গেছে পলাশের পিতা-মাতার উৎকণ্ঠা।
বর্তমানে সে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীম ও ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমম্পেক্স এঁর কর্মরত চিকিৎসক ডাঃ জোবায়ের গালিবের সহযোগীতায় বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাকে প্রায় ৩ বছরমেয়াদি চিকিৎসা নিতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে কেমোথেরাপি, হিমোগ্লোবিন ও দামি ইনজেকশন। এতে খরচ হবে প্রায় ৪-৫ লাখ টাকা।
পলাশকে বাঁচাতে দেশবাসীর নিকট আকুতি জানিয়েছেন তার স্কুলের সহপাঠীরা, তাঁরা বলেন দেশের মানুষ যদি আমাদের বন্ধু পলাশের চিকিৎসার জন্য সবাই একটি করে টাকা দান করেন তা হলে বেঁচে যেতে পারে আমাদের বন্ধু  পলাশের জীবন।
পলাশের স্কুলের প্রধান শিক্ষক নাজমা বেগম জানান, পলাশ একজন মেধাবী ছাত্র। সে এখন ক্যান্সারে আক্রান্ত। তাকে চিকিৎসা করাতে অনেক টাকার প্রয়োজন। যা তার দরিদ্র পিতা-মাতার পক্ষে জোগাড় করা অসম্ভব।
সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয়বান ব্যক্তিদের সহযোগিতা কামনা করেছেন পলাশের বাবা ও মা।
সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন (পলাশের মা): ০১৭৭০-৬৫০১২৫ (বিকাশ) ও সঞ্চয়ী হিসাব নং-পলি আখতার, ৪১১৯০১০০১৭০৯৯, রুপালী ব্যাংক, ক্ষেতলাল শাখা, জয়পুরহাট।
ট্যাগ :
জনপ্রিয়

যশোরের শার্শায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও রোগমুক্তি কামনায় দোয়া-মাহফিল

ক্যান্সার আক্রান্ত ৯ বছরের শিশুটি বাঁচতে চায়

প্রকাশের সময় : ০৭:৪২:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০২৩
ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
ক্ষেতলালে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু পলাশ রহমান বাঁচতে চায়। মাত্র ৯ বছর বয়সী শিশু পলাশ আর দশ জন শিশুরমত দুরন্তপনায় মাতিয়ে রাখত প্রিয় শিক্ষাঙ্গন ও খেলার মাঠ, কিন্তু সে এখন দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে বাঁচার আকুতি জানাচ্ছে।
পলাশ রহমান ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের আয়মাপুর পূর্বপাড়া আবাসনে বসবাসকারী হতদরিদ্র দিনমজুর মিজানুর রহমান ও পলি আখতারের ছেলে। সে আয়মাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, হতদরিদ্র দিনমজুর মিজানুরের এক মাত্র ছেলে পলাশ রহমান। গত কয়েক মাস আগে পলাশ রহমান হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় চিকিৎসকদের পরামর্শে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নিয়ে যান মা পলি আখতার।
হাসপাতালে ভর্তির পর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর শেষে পলাশের ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ে। আর ওই পর্যন্ত চিকিৎসা খরচ যোগান দিতেই সর্বস্বান্ত হয় তার পরিবার। এখন পলাশের চিকিৎসা ব্যয় বহন করা তাদের দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। তার ওপর প্রতি সপ্তাহে রক্তদিতে হচ্ছে পলাশের শরীরে। রক্তদিতে না পারলে ক্রমশয় দূর্বল হয়ে পড়ায় বেড়ে গেছে পলাশের পিতা-মাতার উৎকণ্ঠা।
বর্তমানে সে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীম ও ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমম্পেক্স এঁর কর্মরত চিকিৎসক ডাঃ জোবায়ের গালিবের সহযোগীতায় বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাকে প্রায় ৩ বছরমেয়াদি চিকিৎসা নিতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে কেমোথেরাপি, হিমোগ্লোবিন ও দামি ইনজেকশন। এতে খরচ হবে প্রায় ৪-৫ লাখ টাকা।
পলাশকে বাঁচাতে দেশবাসীর নিকট আকুতি জানিয়েছেন তার স্কুলের সহপাঠীরা, তাঁরা বলেন দেশের মানুষ যদি আমাদের বন্ধু পলাশের চিকিৎসার জন্য সবাই একটি করে টাকা দান করেন তা হলে বেঁচে যেতে পারে আমাদের বন্ধু  পলাশের জীবন।
পলাশের স্কুলের প্রধান শিক্ষক নাজমা বেগম জানান, পলাশ একজন মেধাবী ছাত্র। সে এখন ক্যান্সারে আক্রান্ত। তাকে চিকিৎসা করাতে অনেক টাকার প্রয়োজন। যা তার দরিদ্র পিতা-মাতার পক্ষে জোগাড় করা অসম্ভব।
সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয়বান ব্যক্তিদের সহযোগিতা কামনা করেছেন পলাশের বাবা ও মা।
সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন (পলাশের মা): ০১৭৭০-৬৫০১২৫ (বিকাশ) ও সঞ্চয়ী হিসাব নং-পলি আখতার, ৪১১৯০১০০১৭০৯৯, রুপালী ব্যাংক, ক্ষেতলাল শাখা, জয়পুরহাট।