সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দলমত নির্বিশেষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিয়েছে আ. লীগ: প্রধানমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৪৩:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১২৯ বার পড়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দলমত নির্বিশেষে সব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিয়েছে  বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ‘বীর নিবাস’ প্রকল্পের মাধ্যমে পাঁচ হাজার অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নিজস্ব জমিতে এক তলা বাড়ির চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নানান চড়াই-উতরাই পার হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিয়েছি। দলমত নির্বিশেষে সব মুক্তিযোদ্ধার জন্য এই সম্মানের ব্যবস্থা আমরা করেছি। ৭১ সালে যারা জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে যুদ্ধ করে আমাদের বিজয় এনে দিয়েছেন, তাদেরকে সম্মান দেখানো আমাদের কর্তব্য মনে করি।’

‘সেজন্যই মুক্তিযোদ্ধারা যেনো মারা গেলে রাষ্ট্রীয় সম্মান পায়, সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এ ছাড়া আমরা সরকারে আসার পর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের সন্তানরা যেনো বংশ পরম্পরায় প্রতিটি ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পায়, সেই ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি’, যোগ করেন সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যূনতম ভাতা আমরা ২০ হাজার টাকা করে দিয়েছি। তাছাড়া যাদের ঘরবাড়ি নাই, মানবেতর জীবনযাপন করছে, তাদের জন্য ঘরবাড়ি তৈরি করে জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা, স্বাধীনতা ভাতা, বৈশাখী ভাতাসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা করে দিয়েছি। তাছাড়া তাদের জন্য চিকিৎসা, যাতায়াতসহ সব ব্যবস্থা করে দিয়েছি।

‘আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে যে বিজয় অর্জন করেছি, সেটা যেনো মানুষ ভুলে গিয়েছিলো’ মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর হত্যাকারীদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি ও ব্যবসা-বাণিজ্য দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছিলো। যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ছিলো, তারাই প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, উপদেষ্টা হয়ে ক্ষমতায় বসেন। মুক্তিযোদ্ধারা কোণঠাসা হয়ে পড়েন। এমনকি মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযোদ্ধার পরিবার হলে চাকরি দেয়া হতো না। এমন দুর্ভাগ্যজনক পরিবেশ ছিলো ২১ বছর।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছিলো। কিন্তু ভোট চুরি হয়েছিলো বলে বাংলাদেশের মানুষের আন্দোলনে কারণে খালেদা জিয়া ৩০ মার্চ পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। ১৫ ফেব্রুয়ারি আমাদের গণতন্ত্রকে হত্যা করার একটা দিন।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

যশোরের শার্শায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও রোগমুক্তি কামনায় দোয়া-মাহফিল

দলমত নির্বিশেষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিয়েছে আ. লীগ: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৪:৪৩:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দলমত নির্বিশেষে সব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিয়েছে  বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ‘বীর নিবাস’ প্রকল্পের মাধ্যমে পাঁচ হাজার অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নিজস্ব জমিতে এক তলা বাড়ির চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নানান চড়াই-উতরাই পার হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিয়েছি। দলমত নির্বিশেষে সব মুক্তিযোদ্ধার জন্য এই সম্মানের ব্যবস্থা আমরা করেছি। ৭১ সালে যারা জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে যুদ্ধ করে আমাদের বিজয় এনে দিয়েছেন, তাদেরকে সম্মান দেখানো আমাদের কর্তব্য মনে করি।’

‘সেজন্যই মুক্তিযোদ্ধারা যেনো মারা গেলে রাষ্ট্রীয় সম্মান পায়, সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এ ছাড়া আমরা সরকারে আসার পর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের সন্তানরা যেনো বংশ পরম্পরায় প্রতিটি ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পায়, সেই ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি’, যোগ করেন সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যূনতম ভাতা আমরা ২০ হাজার টাকা করে দিয়েছি। তাছাড়া যাদের ঘরবাড়ি নাই, মানবেতর জীবনযাপন করছে, তাদের জন্য ঘরবাড়ি তৈরি করে জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা, স্বাধীনতা ভাতা, বৈশাখী ভাতাসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা করে দিয়েছি। তাছাড়া তাদের জন্য চিকিৎসা, যাতায়াতসহ সব ব্যবস্থা করে দিয়েছি।

‘আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে যে বিজয় অর্জন করেছি, সেটা যেনো মানুষ ভুলে গিয়েছিলো’ মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর হত্যাকারীদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি ও ব্যবসা-বাণিজ্য দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছিলো। যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ছিলো, তারাই প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, উপদেষ্টা হয়ে ক্ষমতায় বসেন। মুক্তিযোদ্ধারা কোণঠাসা হয়ে পড়েন। এমনকি মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযোদ্ধার পরিবার হলে চাকরি দেয়া হতো না। এমন দুর্ভাগ্যজনক পরিবেশ ছিলো ২১ বছর।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছিলো। কিন্তু ভোট চুরি হয়েছিলো বলে বাংলাদেশের মানুষের আন্দোলনে কারণে খালেদা জিয়া ৩০ মার্চ পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। ১৫ ফেব্রুয়ারি আমাদের গণতন্ত্রকে হত্যা করার একটা দিন।