সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে সন্ধা পর্যন্ত দফায় দফায় খাসকান্দি-বেগম বাজার এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটনা ঘটে। এসময় টেটাসহ দেশিয় অস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি হয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ভাংচুর চালানো হয় ৩টি মোটরসাইকেলসহ একটি গাড়ি। আহত হয় এক পুলিশ সদস্য সহ দুইগ্রুপের অন্তত ১০জন। তাদেরকে স্থানীয় বিভিন্ন চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া ও ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীরা জানান, এলাকায় হাউজিং ব্যবসাকে কেন্দ্র করে নুজহা সিটি'র আলী ইসলাম  ও দক্ষিনা গ্রীন সিটি'র সুমন মিয়া গ্রুপের লোকজনের মধ্যে অনেক দিন যাবত দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো।

সোমবার সকালে খাসকান্দি এলাকায় দক্ষিনা গ্রুপের একটি স্থাপনা বেকু দিয়ে ভেঙে ফেলে নুজহা সিটির আলী ইসলাম গ্রুপ। এনিয়ে দ্রুইগ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়।

পরে বেলা ১১টার দিকে বালুরচর ইউনিয়নের বেগমবাজার এলাকায় শতশত টেটাসহ দেশিয় অস্ত্র নিয়ে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। দুইপক্ষের ধাওয়া পাল্টা দাওয়ায় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিনিত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তবে পুলিশের উপস্থিতেই ভাংচুর চালানো হয় কয়েকটি ঘরবাড়ি, ৩টি মোটরসাইকেলসহ পুলিশের একটি পিকআপ । এ সংঘর্ষে পুলিশ সদস্যসহ দুইগ্রুপের কমপক্ষে ১০জন আহত হয়। পরে অতিরিক্ত সদস্য উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ। জব্দ করা হয় কয়েকশতাধিক টেটা।

এদিকে, এঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর হক জানান, হাউজিং ব্যবসাকে ঘিরে দুইপক্ষের টেটাযুদ্ধের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পুলিশি অভিযানে কয়েকশতাধিক টেটা জব্দ করা হয়েছে। এবিষয়ে আইনী সকল পদক্ষেপ গ্রহন করা হচ্ছে।