
বিজয়কে গ্রেফতার করায় স্বস্তির কথা জানিয়েছেন নিহত জেসিকার স্বজনরা।
এ মামলার বাদী জেসিকার ভাই জিদান বলেন, ‘মামলার প্রধান আসামি বিজয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে তার খবর পেয়েছি। সে অনেকদিন পলাতক ছিল। সে ধরা পড়ায় আমরা স্বস্তি পেয়েছি।’
আমার বোনকে হারিয়েছি। বোনকে তো আর ফিরে পাবো না। তবে অপরাধীদের যেন সর্বোচ্চ শাস্তি হয় সে দাবীই করছি।
ঢাকায় প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাবের লিগ্যাল উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, আদিবা আক্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান বিজয়। এ সম্পর্ক চলাকালীন সময় গত বছরের জানুয়ারিতে জেসির সঙ্গে প্রেম শুরু করেন বিজয়। এরপর দুজনের সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্ক বজায় রাখেন বিজয়। এ অবস্থায় আদিবাকে গোপনে বিয়ে করেন বিজয়। বিষয়টি জানতে পেরে বিজয়ের সঙ্গে তার বিভিন্ন কথোপকথনের স্ক্রিনশট আদিবাকে মেসেঞ্জারে পাঠান জেসি। এর পরই সম্পর্কের অবনতি শুরু হয় বিজয়-আদিবার।
এ অবস্থায় বিজয় ও আদিবা মিলে জেসিকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরে এ বছরের ৩ জানুয়ারি বিজয়ের মুন্সীগঞ্জের কোটগাঁও এলাকায় জেসিকে বাসার ছাদে ডেকে নিয়ে গলাটিপে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।
র্যাব আরও জানায়, এ ঘটনার পর নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করার চেষ্টা করেন বিজয় ও আদিবা। জেসি ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েন বলে তারা নাটক সাজান। পরে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে জেসিকে মৃত ঘোষণা করলে সেখান থেকে পালিয়ে যান বিজয়-আদিবা। ঘটনার পর সদরের নয়াগাও এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল আদিবা আক্তারকে।
এ হত্যার ঘটনায় বাদী হয়ে বিজয় ও আদিবাকে অভিযুক্ত করে মামলা করেন নিহত জেসির ভাই জিদান। পরে আবিদা আক্তারকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠালে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন।
অভিযুক্ত আদিবা সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়ন সদস্য ও যুবলীগের সভাপতি জাহিদ হাসানের মেয়ে।
বিজয় মুন্সীগঞ্জ শহর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আরিফুর রহমানের ছেলে।
নিহত জেসি শহরের সরকারি এভিজেএম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ও সদর উপজেলার কেওয়ার এলাকার সেলিম হোসেনের মেয়ে।
শহিদ শেখ, প্রতিনিধি মুন্সীগঞ্জ 















